ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মানবতা যখনই কোনো সংকটে নিপতিত হতো সেখান থেকে উত্তোরণের পথ বাতলে দিতেন হাকীকত অন্বেষী মুজতাহিদ আলেম, দার্শনিকগণ। আর সেই পথে সংকট সমাধান করত সেসময়ের সংগ্রামী নেতৃত্ব। তাই নেতৃত্ব ও শাসন ব্যবস্থা ছিল জ্ঞান কেন্দ্রিক বা হাকীকতের প্রতি মুখাপেক্ষী। কিন্তু ইসলামী সভ্যতার পতন (সাময়িক) পরবর্তী বর্তমান ক্ষমতাসীন পাশ্চাত্য সভ্যতার ভিত্তি হচ্ছে শক্তি কেন্দ্রিক (চড়বিৎ ঈবহঃৎরপ)। যেখানে হাকীকত অন্বেষী জ্ঞান উপেক্ষিত। আর আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা, ইতিহাসের বয়ান, রাজনৈতিক ধারা সবই এই পাশ্চাত্যের মুখাপেক্ষী! ফলশ্রুতিতে সত্যিকারের সমাধান ও মৌলিক কাজ গতানুগতিক পন্থায় উঠে আসা অনেকটাই অসম্ভব। তাই ইসলামী সভ্যতার সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব, যুগের সমন্বয়ে ‘জ্ঞানের ধারাবাহিতা ও উদ্ভাবন’ আজ অনুপস্থিত। কারণ জ্ঞান মৃত্যুবরণ করেছে। কেননা, এই জ্ঞানের ধারা যুগজিজ্ঞাসার জবাব ও সভ্যতার বিজয়ে সঠিক রূপরেখা তুলে ধরতে পারছে না। তাই মিহওয়ারের লক্ষ্য-“জ্ঞানের পুনর্জাগরণের আন্দোলনকে মানুষের নিকট যৌক্তিকভাবে তুলে ধরার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। ইসলামী চিন্তা ও দর্শন এবং যুগজিজ্ঞাসার জবাবকে ইসলামের আলোকে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের নিকট তুলে ধরে প্রতিটি চিন্তাকে তার নিজস্ব কক্ষপথে ফিরিয়ে আনা।”
হাসান আল ফিরদাউস জন্ম : বাংলাদেশের টাংগাইল জেলায়। তিনি সমাজবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি 'ইসলামী চিন্তা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের' ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন এবং ত্রৈমাসিক মিহওয়ারের সম্পাদক।