মৃত্যুর ঠিক পাঁচ মিনিট আগে নিজের উইল পরিবর্তন করলেন গ্রেস কাহিল। স্বাক্ষর করলেন এমন একটা উইলে যা গত সাত বছর ধরে পরম যত্নে আগলে রেখেছিলেন সবার চোখের আড়ালে। একটা স্বাক্ষরে নির্ধারিত হয়ে গেলো কাহিল পরিবারের ভাগ্য। মাথাপিছু এক মিলিয়ন ডলার নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। অথবা এর বিনিময়ে পাওয়া যাবে একটি সূত্র, যা অনুসরণ করে একে একে পাওয়া যাবে মোট উনচল্লিশটি সূত্র। সবকিছুর সমাধান করতে পারলে এমন এক বিপুল ঐশ্বর্যের মালিক হওয়া যাবে যা কেউ কখনো কল্পনাও করতে পারেনি। পাওয়া যাবে বিশ্বের সবচেয়ে বিস্তৃত ও ক্ষমতাশালী পরিবারের প্রধান হওয়ার সুযোগ। পাঁচশো বছর ধরে পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে এই ঊনচল্লিশটি সূত্র, জড়িয়ে আছেন মানবসভ্যতার ইতিহাসে প্রায় প্রত্যেক বিখ্যাত চরিত্র। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন, উলফগ্যাং এমাদিউস মোজার্ট, আব্রাহাম লিংকন, পিকাসো, রডিন থেকে শুরু করে আরো অনেকেই। দেখা গেলো তারা প্রত্যেকেই কাহিল পরিবারের চার শাখার কোনো না কোনো একটার সদস্য। বোস্টন থেকে প্যারিস, ভিয়েনা থেকে টোকিও, তারপর মিশরের নীলনদের তলদেশ ভ্রমণ শেষে রাশিয়ার রাজতন্ত্রের গোপনীয়তা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে অ্যামি আর ড্যান কাহিলকে? নেলি গোমেজ কতদূর যাবে তাদের সাথে? নিজের মা-বাবার মৃত্যু সম্পর্কে জানতে পারবে কি তারা? হোল্ট পরিবার, এক্স কেজিবি এজেন্ট ইরিনা স্প্যাস্কি, স্টারকিড জোনাহ উইজার্ড, কোরিয়ান বৃদ্ধ এলিস্টার ওহ, বিলিয়নেয়ার ক্যাব্রা ভাইবোন কিংবা স্টারলিংরা তিনজন- এতো এতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সামনে কতক্ষণ টিকে থাকতে পারবে অ্যামি আর ড্যান? তারা কোন শাখার সদস্য? একেট্রিনা, টমাস, জানুস নাকি লুসিয়ান? তাছাড়া ম্যাড্রিগাল-রাই বা কারা? কেন তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে? চলুন অ্যামি ও ড্যান কাহিলের সাথে বিশ্বভ্রমণে বের হই।