সাহিত্য জীবনের দর্পণ। যে জাতির সাহিত্য ভাণ্ডার যত বেশি সমৃদ্ধ সে জাতি তত বেশি উন্নত। সাহিত্য নদী ও সময়ের মতোই প্রবহমান। সাহিত্য ভাণ্ডারে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে নিত্য নতুন সাহিত্য কর্ম। ঠিক এমনইভাবে ক্ষুদ্র বালুকার চেয়েও ক্ষুদ্রতর এই উপন্যাসটি যুক্ত হচ্ছে সাহিত্য ভাণ্ডারে। ‘শ্রাবণ সন্ধ্যা’ উপন্যাসটি দুর্দান্ত প্রেমের উপন্যাস। দুটি কোমল মনের সামান্য পরিচয়ের সূত্র ধরে ভালো লাগা থেকে ভালোবাসার জন্ম। আর সেই থেকে এক সাথে পথচলা। হাজারও আনন্দ, বেদনা, সুখ, দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়া এবং এক সাথে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখা। হঠাৎ এক ট্রেন দুর্ঘটনায় কাল বৈশাখীর ঝড়ো হাওয়ার মতো সব এলোমেলো করে সকল স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দু’টি প্রাণের দু’দিকে ছুটে চলা। ‘শুকতারার পতন’-এর পর ‘শ্রাবণ সন্ধ্যা’ আমার দ্বিতীয় উপন্যাস। ক্ষুদ্র একজন লেখক হিসেবে লেখার মধ্যে ভুলভ্রান্তি থাকা অস্বাভাবিক নয়। ভুলের জন্য সর্বদাই ক্ষমাপ্রার্থী। তদুপরি উপন্যাসটি পড়ে সম্মানীত পাঠকের যদি সামান্যতম সাহিত্য তৃষ্ণা মেটে এবং তারা আনন্দ পায় তাহলে আমার শ্রম সার্থক হবে বলে মনে করব। বইটি প্রকাশে আমার পরিবারের সহযোগিতার কথা না বললেই নয়। তাছাড়া এ যাবৎ যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উৎসাহ, পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়ে আমাকে সবসময় সহযোগিতা করেছেন তাঁদের প্রতি রইল আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা। আগামীতেও আপনাদের সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ আমি সাদরে গ্রহণ করব।