জ্ঞান ফিরতেই নিজেকে বন্দী অবস্থায় দেখে চমকে ওঠে ইবতিসাম। চেয়ারের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে তাকে। মুখে কাপড় প্যাঁচানো। হাতটাও নাড়াতে পারছে না সে। তার মানে কেউ তাকে অপহরণ করেছে! কিন্তু কেন? অসহ্য লাগছে ইবতিসামের। চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। সামান্য আলো-বাতাসও নেই। মনে হচ্ছে তাকে জ্যান্ত কবর দেওয়া হয়েছে। মুখ বন্ধ থাকার কারণে চিৎকারও করতে পারছে না। অসহায় হয়ে পড়ে ইবতিসাম। ভাবতে লাগলো কীভাবে সে জ্ঞান হারিয়েছে। তার সবটা মনে পড়ে যায়। নীরার সাথে দেখা করতে গিয়ে এই অবস্থা তার। এই কাজ নিশ্চয় নীরাই করেছে। একটা মেয়ে হয়ে এমন জঘন্য কাজ করতে পারলো! কিন্তু সে এমনটা কেন করলো? ইবতিসাম আনিশাকে বিয়ে করছে বলে? এই ভীতু নীরার এত সাহস হয়েছে! ইবতিসাম ভাবেনি এমন কিছু হতে চলেছে । নতুবা কখনোই ইউশরার কথা অমান্য করে ওদিকটায় সে যেত না। ইউশরার কথা মনে হতেই বুকটা ধুক করে উঠলো তার। ইউশরা কোথায়? তাকেও কী নিয়ে আসা হয়েছে এখানে? চিৎকার করতে চেয়েও পারছে না ইবতিসাম। নিজেকে খুব বেশি অসহায় মনে হচ্ছে আজ। নিজের থেকেও বেশি চিন্তা হচ্ছে প্রিয় বান্ধবী ইউশরার জন্য। মেয়েটি ঠিক আছে তো?
সাজি আফরোজ। ৩রা মার্চ জন্মগ্রহণ করেন চট্রগ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। পিতা মাহাফুজুল ইসলাম। মাতা আফরোজা খানম এবং স্বামী সাইফুল আলম। চট্রগ্রামের মেয়ে তিনি। বর্তমানে মনোবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত আছেন চট্রগ্রাম কলেজে। লেখিকা দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখালিখি করে আসছেন। ইতোমধ্যে তিনি তার লেখার মাধ্যমে পাঠক হৃদয়ে জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন । প্রেম, ভালোবাসা, দেশ, প্রকৃতি, ধর্মসহ সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখতে পছন্দ করেন তিনি। অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন সাধারণ মানুষের জীবনের কাহিনীগুলো তার হাতের ছোঁয়ায়। ❝বান্ধবী❞ তার পঞ্চম উপন্যাস। এছাড়াও প্রকাশিত হয়েছে আরও তিনটি যৌথ বইতে তার লেখা।