"না-পাওয়া ভালোবাসায় ভালোবাসা সবচেয়ে বেশি!" আমরা সবাই-ই জীবনের কোনো একটা সময় প্রেমে পড়ি। অন্য কাউকে প্রচন্ড ভালোবেসে জীবনকে একটু অন্য ভাবে আবিস্কার করতে শিখি। সেই সময়টা জুড়ে জীবনে জমা হয় অসংখ্য স্মৃতি। তারপর; হাসি-তামাশা, রাগ-অভিমান এবং ভালোবাসতে বাসতে সময়টা কখন কেটে যায় আমরা নিজেরাও বুঝে উঠতে পারি না। সেই সুন্দর সময়টা কেটে গিয়ে সহসা বাস্তবতা এসে হাজির হয় এবং কিছু ভালোবাসা পূর্নতা পায় আর কিছু ভালোবাসা হারিয়ে যায়। একে অন্যকে প্রচন্ড ভালোবেসেও পাওয়া হয়ে উঠে না ভালোবাসাটা। সেই না-পাওয়া ভালোবাসাটা আজীবন বুকের ভেতর মায়া হয়ে থেকে যায়, ঠিক কাঠগোলাপের সাদার মায়া'র মতনই! যাদেরকে আমরা প্রচন্ড ভালোবাসি, কাঠগোলাপ বলতে আমি সেই সব মানুষকে বুঝিয়েছি। তাই-তো আমার এই বইটা তাদেরকেই উৎসর্গ করা, "যারা ভালোবেসে ভালোবাসা পায়নি!" পাওয়া না-পাওয়া হাজারো ভালোবাসার মধ্যে যখন কেউ ছেড়ে চলে যায় তখন আমরা একে অন্যকে অভিযোগ করি। একে অন্যকে প্রচন্ড ঘৃণা করি। এবং— দিনশেষে আমরা অনুভব করি আমার ভালোবাসাটাই সবচেয়ে বেশি ছিলো। কিন্তু— খোঁজ নিলে দেখা যাবে, সে-ও হয়ত সেটাই অনুভব করছে। শুধু আমরা সেই খোঁজটাই রাখিনা; অভিমানে, অভিযোগে, প্রচন্ড ঘৃণার কারণে! তাই-তো আমি আমার কবিতায় বলেছি; "ভালোবাসলে নিজস্ব কোনো দুঃখবোধ থাকতে নেই, ভালোবাসলে নিজস্ব কোনো স্বার্থ থাকতে নেই!"
স্নাতকোত্তর, টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সবুজ আহম্মদ মুরসালিন মূলত অসংখ্য মানুষের অব্যক্ত কথা, অনুভূতি, অনুভব, সুখ কিংবা দুঃখ, জীবন ও জাগতিক বাস্তবতা শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করতে ভালোবাসে। ‘কাঠগোলাপ আমার প্রেমিকা’ ও ‘বিষাদের আয়ু তিনপ্রহর’ তার কাব্যগ্রন্থ। ‘ডিসেম্বরের শহর’ ও ‘জোছনা বিভ্রম’ নামে দুইটি উপন্যাস আসার কথা রয়েছে। তাঁর জন্ম ১৯৯৮ সালের ৫ নভেম্বর, বাগেরহাট জেলায়, দলুয়াগুনি গ্রামে৷