নিজের সাথে নিজের সন্ধি সূর্য ডুবে যাওয়ার মতো কিছু কথা দিনের শেষে হারিয়ে যায় কথা কি আর জমিয়ে রাখা যায়! অনেক কথা বলার থাকে, গোপনকথা, আপনকথা আরও কিছু মনেরকথা কথার পিছে কথা গেঁথে মালাগাঁথা কি সহজ কথা! রোজ কথা বলা যার স্বভাব সে কি আর কথা জমাতে পারে? ‘সেদিন বললেÑ এতো কথা কেন যে বলতে চাও? আয়েশ করে না হয় একদিন আমরা কথা বলবো’। সপ্তাহকে দিন-ক্ষণ দিয়ে ভাগ করে খুব কাছে নিয়ে যাই মনকে সান্তনা দেই আহা আর কিছুক্ষণ; সময় আসে, সময় যায় এদিকেÑ জমানো কথারা যেন কোথায় হারিয়ে যায়। যেদিন কথার মতো নিজেকেও হারিয়ে ফেলবোÑ সেদিন আফসোস করে বলবেÑ সে যেন কি বলতে চেয়েছিল। নারী ও কবিতা কবিতা অবিকল নারীর মতো! চোখ-মুখ পরিযায়ী মন। নাকি কবিতা শব্দের খেলা? কিংবা সে ছন্দের? নারী ও কবিতা সর্বভূক। দুঃখ খায়, বেদনা খায়, যাতনা লুকায় কেঁদে ওঠে অন্যের সুখে-অসুখে। যেমন নারীÑ ব্লটিং পেপার সংসারের দুঃখগুলো শুষে শুষে জলন্ত আবীর। নারীর শৈশব নেই, নারীর কৈশোর নেই, থই থই নদী নেই যৌবন, চৈত্রেরঅনল জলের আগুনে পোড়ে। নারীর রাত-নেই, দিন-নেই, ভোর নেই, নারীর সকাল নেই; আছে কুষ্ঠ রোদ প্রেম যে পথে হাঁটে নারী যে তার পিছু পিছু ছোটে ভালোবাসা যে পথ ধরে চলে গেছে নারী তার উল্টোপথে ফিরে আসে। যে নদী শুকিয়ে যায়Ñ থাকে কেবল অলস দুই পার, আর শ্রাবণের বারি চোখে। মেঘ বালিকা চলছে তুমুল আয়োজন হৈ-হুল্লে¬াড় আর ছোটাছুটি এইতো আসবে; এই এলো বলেÑ একটু অপেক্ষা করো। কে আসবে? তার নাম কি? কোথায় বাড়ি? আমি তাকে চিনি? ওসব পরে শুনতে হবে। কথা কম। কাজ বেশি। ও মাঝি, কোথায় গেলে? তোমার বৈঠা গোছাও বাড়ি যাবে এই এলো বলেÑ জলদি পা চালাও তো! রাস্তা ধরে কিশোরী মেয়েটি আজ যে পুব আকাশে রঙধনু শাড়ি পরে, পাহাড়ে হেলান দিয়ে মেঘ-ঘুমে। অভ্যর্থনা দিতে কম করে হলেও শ’খানেক কদমফুল জোড়া শালিক দেখছে বসে গাছের ডালে। হলুদ রোদ নূপুর পায়ে নাচছে তা ধিন ধিন তা ধিন ধিন সাগর কন্যা বাজায় বিণ। গুড় গুড় গুড় তালে তালে বাজছে ঢাকের কাঠি ডাকছে কুয়োর ব্যাঙ গ্যাঙর গ্যাং। কে আসবে? কি নাম তার? কোথায় বাড়ি? পরিচয় পরে শোনÑ আকাশে বিজলি বাতি জ্বলে উঠেছে ঘরের বদ্ধ জানালা খুলে দাও জোর হাওয়া লাগুক অন্তরে মাটির বুকে একটু পানি চাইÑ আমি বড্ড পিপাসার্ত। পিপাসার্ত মন। মেঘ বালিকা ঘুমিয়ে আছে আকাশে।