লেখকের কথা ‘বোবা সমাজ’ উপন্যাস লিখতে আমার দীর্ঘ সাত বছর সময় লেগেছে। সমাজের অনেক জীবনকে খুব কাছ থেকে নিরীক্ষা করতে হয়েছিল। মিশে যেতে হয়েছিল নানান শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে। শুনতে হয়েছিল তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা। এই জীবনগুলোর সাথে আমাদের অতীত মিলাতে গিয়ে চলে যেতে হয়েছে অনেক পেছনে। তাই কিছু পুস্তক ও অনলাইনের সাহায্য নিতে হয়েছিল সঠিক তথ্য তুলে ধরতে। অতীত থেকে আজ অবধি বর্তমান সমাজের বৈষম্যগুলো দেখাতে চেষ্টা করেছি। একটা দেশের সমাজের দিকগুলো এত বিশাল যে কোটি পাতা লিখেও শেষ করা যাবে না। দেশের মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে সামজিক বৈষম্য দূর করাই হলো এই উপন্যাসের মূল লক্ষ্য। সত্যিকারের সামাজিক সংগঠন একটা সমাজে খুব প্রয়োজন; এই কথাটি বোঝতে চেয়েছি। এই বইয়ে তরুণদের জন্য রয়েছে অনেক বার্তা; যা তাদেরকে হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করার জন্য অনুরোধ রইল। গণমানুষের এক পরিশ্রমী লেখকের গভীর দৃষ্টিভঙ্গিতে তুলে আনা হয়েছে সমাজের নানা বৈষম্য ও কষ্টের কথা। যার মূল হলো মানুষ। এই গ্রšে’র গুরুত্ব-সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা করার দায়িত্ব তুলে দিলাম সমাজের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হাতে। সবাইকে ধন্যবাদ। মুশফিকুর রহমান চট্টগ্রাম, সেপ্টেম্বর ২০২২