কোন এক দূরবর্তী সময়ের এক দূরবর্তী স্থান এই গল্পের গ্রাম কৈলান। সে গ্রামের সাদাসিধে আটপৌরে জীবন গাঁথায় ত্রাতা, রক্ষক হিসেবে দেখা যায় দূর রাজপুরীতে অবস্থানরত একজন শক্তিমান রাজাকে। তিনি মহারাজাধিরাজ। তিনি কখনো দেখা দেন না। বহুদূর থেকে তিনি কৈলানের খোঁজ খবর রাখেন, কল্যান বিধান করেন। গোপন সংবাদবাহকরা কৈলানের সব খবর ঠিক ঠিক পৌঁছে দেয় তাঁর দরবারে। তুষ্টিপ্রবল আবেগী ভক্ত কৈলানবাসী মহারাজাধিরাজের প্রতি তাঁদের ভক্তি নিবেদনে কার্পণ্য করেনা। প্রতি নৈবদ্য পূর্নিমায় গ্রামবাসী গ্রামের পুরোনো বটগাছতলায় তাদের অর্ঘ্য নিয়ে ভক্তি সভায় সমবেত হয়। তবে এসবের মাঝেই কৈলানে অমঙ্গল হানা দিতে থাকে নিয়মিত। অশান্তি,যন্ত্রনা আর কান্না দিব্যি জায়গা করে নিতে থাকে কৈলানে। গ্রামবাসী যেন কখনো কখনো দিশেহারা হয়ে পড়ে। তারা মহারাজাধিরাজের সাথে দেখা করতে চায়। কিংবা তারা চায় মহারাজাধিরাজ নিজে এসে দেখে যাক তাঁদের দুঃখ দুর্দশা। তারপর?কৈলানবাসীর সে চাওয়া কি ক্রমশ কোন একটি দাবীতে পরিনত হবে?আসবেন কি মহারাজাধিরাজ কৈলানবাসীকে দেখা দিতে?>br> পাঠক, আপনাকে আমন্ত্রন মহারাজাধিরাজের সাথে পরিচত হতে। দেখুন তো, চিনতে পারেন কি তাঁকে?