এই বিশাল জগতে আমরা সবাই উদ্বাস্তু।কেউ আভিধানিক ভাবে ভূমিহীন উদ্বাস্তু, আবার কেউ গৃহের ভিতরের চিরচেনা জগতে নিজেই নিজের কাছে উদ্বাস্তু।ভূমিহীন এবং মানসিক প্রশ্রয়হীন এই দুই জগতের বাসিন্দাদের সংখ্যাবৃদ্ধি থেমে নেই। আশ্রয়ের সন্ধানে নিরন্তর ছুটে চলেছে এসব উদ্বাস্তু।এখানে কেউ হয়তো আপনজন সাথে নিয়ে ঘুরছে অথচ সে তার কেউ নয়।আবার কেউ চরম একাকী যাযাবর জীবন ফেরী করছে,যেখানে তার কোনও স্থায়ী ঠিকানা নেই।।মানুষের জীবনের আড়ালে হাজার হাজার অনুভূতির উপখ্যান জমা হতে থাকে প্রতিনিয়ত।সব উপখ্যান একসাথে জমা করলে সৃষ্টি হয় অদেখা জীবন।আমরা সেই অদেখা জীবন উপখ্যানের প্রতিটি মুহুর্তে আলাদা আলাদা চরিত্রে অভিনয় করছি মাত্র।নিরন্তর নিজেকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করছি, অথচ একই সাথে কোথাও না কোথাও জমিনে কিংবা কারও জীবনে ঠিকানা হওয়ার অভিপ্রায়ে অবিরত ছুটে চলেছি ।আমরা নিজেও তো সে জীবনের কাছে দিকভ্রান্ত এক উদ্বাস্তু। অন্দরের ভিতরে কিংবা জনারণ্যে আমরা যা দেখি, তার সবটুকু কখনও বলা হয় না।অথচ তার প্রভাব সারা জীবনেও কাটিয়ে উঠতে পারে না অনেকে।পৃথিবী থেকে অধিকাংশ মানুষ বিদায় হয়ে যাবে,অব্যক্ত কথার যন্ত্রণার ভার সহ্য করে।এই গল্পে পরিচিত মুখের আড়ালে ভয়ংকর হিংস্র মুখোশ যেমন বর্ণনা করা হয়েছে,তেমনি মোহ ও কামের ফাঁদে আটকে পড়া পবিত্র সম্পর্কের মানুষের ভয়ংকর রূপ প্রকাশ পেয়েছে।