বিয়ের প্রস্তুতি, বিয়ে, দাম্পত্য জীবন, বাচ্চার লালনপালন (প্যারেন্টিং) বা নিত্যনৈমিত্তিক ইবাদাত ও আচার আচরণের মতো বেশকিছু জীবনগরিষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সমন্বয়ে প্রস্তুতকৃত মলাটবদ্ধ একখণ্ড স্বপ্নের পাণ্ডুলিপির নাম “প্রিয়তম” এ সময়ে ইসলামী সাহিত্য ও সংস্কৃতির অভয়ারণ্যে যে কজন সমান ভাবে অবদান রেখে যাচ্ছেন তাদের মাঝে জনপ্রিয় কবি ও গীতিকার মরিয়ম মাহবুবা অন্যতম। যার কলম প্রতিনিয়তই উপহার দিয়ে যাচ্ছে ইসলামী কবিতা ও নাশিদ। লেখা পড়ে বুঝার উপায় নেই তিনি অল্প বয়সের তরুণী। সদ্যই শুরু করেছেন নিজের সংসার জীবন। কিন্তু জীবনের সবচেয়ে সুন্দর ও চ্যালেঞ্জিং দিন গুলোতেই প্রস্তুত করে ফেললেন এমন একটি পাণ্ডুলিপি যা লালিত স্বপ্ন ও অভিজ্ঞতার এক অপূর্ব সমন্বয়। সংসার জীবনের শুরুতেই এমন একটি পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করে ফেলা যেনতেন কথা নয়। এটি অনুমেয় যে উনার বাস্তব জীবনের প্রিয়তম উনাকে এ ক্ষেত্রে সার্বিক সহায়তা করেছেন। একজন মেয়ের জন্য এমন প্রিয়তম পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। এটি মহান রবের অপার মেহেরবানী। “প্রিয়তম” শিরোনামে আসন্ন এ বইটি কবির প্রথম লেখা প্রথম বই হলেও পাণ্ডুলিপিটি পড়ে আমার কাছে বেশ সাজানো গুছানোই মনে হয়েছে। কবিতার নিয়মনীতি মেনে ও ছন্দের গতি ঠিক রেখে লেখার চেষ্টা করেছেন তিনি। এ বইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো তার বিষয় নির্বাচন। একটি মেয়ের প্রাসঙ্গিক চাওয়া পাওয়া থেকে শুরু করে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এমনকি অনন্ত জীবন নিয়েও লিখতে ভুলে যাননি মেধাবী এ কবি। পাণ্ডুলিপিটি পড়ে আমার কাছে মনে হলো এটির মাঝে ছেলে মেয়ে উভয়রের জন্যই চমৎকার দিকনির্দেশনা দেয়া আছে। বইটি মনোযোগ দিয়ে পাঠ করলে যে কারোরই সুখপাঠ্য হবে। আমি দোয়া ও প্রত্যাশা করি কবি ও কবির সাহিত্যকর্ম অমর হয়েই বেঁচে থাকুক বাংলার সাহিত্যাঙ্গনে। মলাটবদ্ধ হওয়া এই প্রিয়তম ও আবদ্ধ হওয়া জীবনের প্রিয়তম উভয়েই কবির জীবনকে আরো সমৃদ্ধিময় ও ব্যপক করে তুলুক। কবির বই লেখার এ পথচলা হোক সুদীর্ঘ। রাকিবুল এহছান মিনার কবি ও গীতিকার