সাহিত্যে নোবেল (২০১৮ সালে, ২০১৯ সালে ঘোষিত) এবং একই বছর ‘ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল' পুরস্কার বিজয়ী পোলিশ লেখিকা ওলগা তোরাকচুক (জন্ম ১৯৬২ সালে)। পুরস্কার অর্জনের পরই বিশ্বব্যাপী তার নাম ছড়িয়ে পড়ে এবং তিনি একজন আলোচিত লেখক হয়ে ওঠেন। তিনি সাহিত্য রচনার মাধ্যমে পোল্যান্ডের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। তাঁর লেখায় দেখা যায় অসাধারণ রসবোধ, কল্পনাশক্তি এবং আত্মবিশ্বাস। পোলিশ ভাষায় তার ঝুলিতে রয়েছে নয়টি উপন্যাস (ছয়টি উপন্যাস ইংরেজিতে অনূদিত), দুটি ছোটগল্প সংকলন (ঊনত্রিশটি গল্পের মধ্যে মাত্র বারোটি গল্প ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে), একটি কবিতার বই, পাঁচটি নন-ফিকশন এবং একটি শিশুতোষ গ্রন্থ। ‘নির্বাচিত ওলগা তোকারচুক' গ্রন্থে সূচনা ছাড়া চারটি আলাদা অধ্যায়ে লেখিকার নির্বাচিত পাঁচটি ছোটগল্প (সেলাই, বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিত রমণী, জুরেক স্যুপ, শনিবার অন্তিম সময় থেকে রোববার ভোর এবং আলমারি), তিনটি বিখ্যাত উপন্যাসের চারটি চুম্বক অংশ (এক্সসার্ট) এবং বিভিন্ন সময়ে ও বিভিন্ন কারণে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ দুটি সাক্ষাৎকার এবং অনুবাদকদের চোখে শিরোনামে দুটি নিবন্ধ অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আশা করা যায় যে, 'নির্বাচিত ওলগা তোকারচুক” গ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে নোবেল বিজয়ী পোলিশ কাসাহিত্যিক ওলগা তোকারচুকের জীবন ও সাহিত্য সম্পর্কে বাংলাদেশের উৎসাহী ও বিদগ্ধ পাঠকের মনে জানার আগ্রহ সৃষ্টি হবে এবং আরো বেশি পরিচিতি লাভ করবে।
ফজল হাসান সাহিত্যিক ছদ্মনাম। পােষাকী পরিচয় ড. আফজল হােসেন। মৌলিক ছােটগল্প, অনুবাদসাহিত্য এবং ছড়া রচনায় তিনি ইতােমধ্যে পারঙ্গমতা প্রদর্শন করেছেন। ঢাকার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার নিয়মিত সাহিত্য সাময়িকী ও বিশেষ সংখ্যায় এবং সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অনলাইন ম্যাগাজিনে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে তার মৌলিক এবং অনুবাদ গল্প । এ পর্যন্ত তিনটি মৌলিক ছােটগল্প এবং পাচটি অনুবাদ গল্পের সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বাংলামাটি অনলাইন ম্যাগাজিনে অস্ট্রেলিয়ার চিঠি শিরােনামে নিয়মিত কলাম লিখছেন। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসাবে ২০০৬ সালে পেয়েছেন প্রিয় অস্ট্রেলিয়া থেকে ‘প্রিয় লেখক পুরস্কার এবং ২০১০ সালে। ‘বাসভূমি’র পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে পেয়েছেন বাসভূমি পুরস্কার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণীতে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করার পর ফরেস্ট্রিতে। ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং সপরিবারে বসবাস করছেন ক্যানবেরায়।