মানবদেহের অস্তিত্ব খাদ্যের উপর নির্ভরশীল। তবে, সুস্থ সুন্দর জীবনের জন্য প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি ও সুষম খাবার। সুষম খাবার বলতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, মিনারেলস ও পানিকে বুঝানো হয়। দেহের ওজন কমাতে বা স্বাস্থ্য-সুরক্ষায় অনেকেই অনেক ধরনের ডায়েট শুরু করেন। অনেকেই মনে করেন ভিটামিন দেহে শক্তি যোগায়। কিন্তু, ভিটামিনের অংশগ্রহণ প্রয়োজন হয় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাট খাবারের বিপাক প্রক্রিয়ার সময়। অর্থাৎ, ভিটামিন থেকে দেহে সরাসরি কোনো শক্তি উৎপন্ন হয় না। আবার কার্বোহাইড্রেট খাবার যেমনÑভাত, রুটি, আলু ইত্যাদি প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত গ্রহণ যেমন ক্ষতির কারণ তেমনই অবজ্ঞা করাও বোকামি। পর্যাপ্ত পানি পান করাও জরুরি। উদ্ভিজ প্রোটিন ও প্রাণিজ প্রোটিন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে পরিমিত পরিমাণে। সারাদিনে দুই রকমের ফল খেতে হবে। তবে, আর্থসামাজিক অবস্থা ও বসবাসের স্থান (গ্রাম বা শহরে) বিধিসম্মত খাদ্য গ্রহণে ব্যাপক পার্থক্য দৃশ্যমান। অপরদিকে জীবনধারণের জন্য যে খাদ্যাভ্যাস প্রয়োজন তা অস্বাস্থ্যকর হচ্ছে কি না সে বিষয়গুলো জানতে হবে। ঋতুভিত্তিক খাদ্যপ্রাপ্যতা, খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, খাদ্য নিরাপদতা নির্বিশেষে সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সঠিক খাবার গ্রহণের মাধ্যমে যে কোনো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ঘাটতিজনিত সমস্যা, পানি শূন্যতা, অতিরিক্ত ওজন, মারাত্মক অপুষ্টি ইত্যাদি বিষয় সর্ম্পকে সবার সচেতন হওয়ার সময় এসেছে। তাছাড়াও ডায়াবেটিস, হাইপারটেশন, কিডনী রোগ, লিভার ডিজিস, ক্যান্সার এমনকি মানসিক অসুস্থতাতেও প্রয়োজন সঠিক পথ্য। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী না হলে অল্প অসুস্থতায় মানুষ খুব সহজে দুর্বল হয়ে পড়ে।