চো নাম-জু’র জন্ম ১৯৭৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে। একাডেমিক পড়ালেখার বিষয় ছিল সমাজবিজ্ঞান। প্রায় দশ বছর ফ্রিল্যান্স স্ক্রিপ্টরাইটার হিসাবে কাজ করছেন টিভিতে। এরপর মা হবার পর চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। শতভাগ গৃহিণী জীবনে বাচ্চা পালনের ক্লান্তি থেকে বের হওয়ার জন্য ঘরে বসে লেখায় ফেরেন আবার। নিজের জীবনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার আলোকে কোরিয়ান সমাজে একজন নারীর শিশু থেকে মা হয়ে ওঠার সংগ্রাম ফুটিয়ে তুলতে উপন্যাস লিখতে শুরু করেন। তিন মাসের বেশি সময় লাগেনি এটা শেষ করতে। ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয় কিম জিইয়ং, জন্ম ১৯৮২। এটি তার তৃতীয় উপন্যাস। কোরিয়ার সমাজে নারীর প্রতি ধারণা ও লৈঙ্গিক বৈষম্যের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে এখানে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ, নারীবাদী ও #মিটু আন্দোলনকারীসহ বড়ো বড়ো কে-পপ তারকাদেরও প্রভাবিত ও সচেতন করেছে বইটি। এখন পর্যন্ত বিশটিরও বেশি ভাষায় অনূদিত। বিক্রি হয়েছে দশ লক্ষ কপির ওপরে। ‘মিলিয়ন কপি সোল্ড’ ক্লাবের সদস্য যে দুটি কোরিয়ান উপন্যাস তার মধ্যে এটি একটি। উপন্যাসটি নিয়ে আলোচনার ঝড় এখনো থামেনি, চলছে। একে তুলনা করা হয় ১৮৫২ সালে প্রকাশিত হ্যারিয়েট বিচার স্টোয়ের দাসপ্রথাবিরোধী উপন্যাস আঙ্কেল টম’স কেবিন-এর সাথে যাকে আমেরিকার গৃহযুদ্ধের ভিত্তি বলা হয়ে থাকে। এই যুদ্ধের অন্যতম কারণ ছিল দাসপ্রথাকে চিরতরে বিলুপ্ত করা। ঠিক একইভাবে চো’র কিম জিইয়ং, জন্ম ১৯৮২ কোরিয়ায় নারীর সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিরোধকে শক্তিশালী করেছে, মানুষকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে।
চো নাম-জু'র জন্ম ১৯৭৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে। একাডেমিক পড়ালেখার বিষয় ছিল সমাজবিজ্ঞান। প্রায় দশ বছর ফ্রিল্যান্স স্ক্রিপটরাইটার হিসাবে কাজ করেছেন টিভিতে। ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয় কিম জিইয়ং, জন্ম ১৯৮২। এটি তার তৃতীয় উপন্যাস। কোরিয়ার সমাজে নারীর প্রতি ধারণা ও লৈঙ্গিক বৈষম্যের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে এখানে।