"কে বলে বুড়ো" মূলত কবির অনুভূতিগুলো কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। করোনাকালীন সময়ে এই লেখাগুলো রচিত হয়েছে। লেখিকার নস্টালজিক অনুভূতিগুলোর সাথে আপদকালীন সময়ের অনুভূতিগুলো মিলেমিশে রচিত হয়েছে কবিতাগুলো। লেখিকা একাধারে আপদকালীন সময়ের পরিস্থিতিকে সামনে রেখে মনের কষ্টকে ধারণ করেছেন অপরদিকে 'আশারবানী'র উল্লেখ রয়েছে কবিতাগুলোতে। লেখিকা নতুন প্রজন্মদের ইঙ্গিত করেছেন নিরাশ না হতে, খুব তাড়াতাড়ি সুদিন আসবে। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের কাছে কবির এ আকুতি বারবার প্রকাশ পেয়েছে। কবি মনে করছেন, মানুষের কর্মের ফলেই আজ এই সময়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাদের। আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্তই হচ্ছে এই আপদকালীন সময়। কিছু কিছু কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে প্রকৃতিতে যে বিপদ এসেছে প্রকৃতির আঘাতেই এই বিপদ কেটে যাবে। প্রকৃতির উপকরণ পশু-পাখি-ঝড়-বাদল এই বিপদকে ধুয়ে মুছে বিলীন করে দেবে। কবির সাংসারিক কাজের কিছু চিত্র এখানে ফুটে উঠেছে, যা সচারাচর প্রত্যেক রমনীরাই কম বেশী এ পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে থাকেন। একটি কবিতায় কবি ঈশ্বরকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বৃথাই ছিল সে চেষ্টা। কিছু কবিতা আছে যা সময়োপযোগী কবিতায় অর্ন্তভূক্ত করা যেতে পারে। কবির নস্টালজিক অনুভূতিতে প্রেম-ভালোবাসা-বিরহ ও আনন্দ ফুটে উঠেছে, যা কবিকে একাধারে ব্যথিত করে আবার আনন্দও দেয়, তবে আনন্দ থেকে কবি মনের বেদনা প্রকাশ পেয়েছে বেশী। কবি স্বাধীনতার অর্জনকে তুলে ধরেছেন লাল-সবুজের পতাকার ব্যাখ্যার মাধ্যমে। যা কবির দেশ প্রেমের ইঙ্গিত বহন করে। 'কে বলে বুড়ো' এর শেষে চারটি ছোটগল্প স্থান পেয়েছে, যা লেখক পাঠকের মতামতের উপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে এ বিষয়ে এগিয়ে যাবার আগ্রহ রাখে। বইটি এক মলাটে কবিতা ও গল্প স্থান পাওয়ায় পাঠক সমাজ সহজেই লেখক সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা পাবে।
আমি নাজনীন মোসাব্বের। ডাক নাম রুচি। জন্ম তারিখ ৩রা জুলাই। পড়াশোনা শেষ করেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে (স্নাতক-স্নাতকোত্তর)। একই সাথে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বি.এড ডিগ্রী নিয়েছি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্যযোগ্য, পড়াশোনা শেষ করে আমি প্রায় ১৮ বছর ইংলিশ মিডিয়ামের বাচ্চাদের পড়িয়েছি বিধায় এই লেখালিখির ব্যাপারে বেশ কিছুটা পিছিয়ে আছি। অনেকেই আমাকে কবি বলে সম্বোধন করে থাকেন এতে আমি বিব্রত বোধ করি। কেননা, শুধুমাত্র কবিতা ও গল্প লেখার মধ্যে আমার লেখনীর সীমাবদ্ধ থাকেনি, আমার লেখা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় ছুটোছুটি করে। তাই আমি একজন লেখিকা বলে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। বর্তমানে আমি ইন্টারন্যাশনাল ইনার হুইল ক্লাব অব ধানমন্ডি শাখার ‘ISO - International Service Organizer' ও শিল্প-সাহিত্যের ফেইসবুক গ্রুপ ‘সৃজন'-এর সক্রিয় সদস্য হিসাবে কর্মরত আছি ।