বাংলা বানান সম্পর্কে কখনও কোন রকম বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়নি এমন মানুষের সংখ্যা নেহাতই অল্প। অনেক উচ্চশিক্ষিত মানুষের লেখায়ও বানান বিভ্রান্তি দেখা যায়। ‘বাংলা বানানের নিয়মককানুন দুর্বোধ্য’ - এ ধরণের অভিযোগ করে অনেকে নিজের দুর্বলতার পেছনে যুক্তি খোঁজার চেষ্টা করে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে, বাংলা বানানের নিয়মকানুন সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবই এ দুর্বলতার প্রধান কারণ।এখন প্রশ্ন জাগতে পারে এই যে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাব- এর কারণ কী ? এর কারণ বিবিধ। তবে সর্বাগ্রে বলতে হলে বলব,যথার্থ অনুশীলনের অভাবই এর প্রধান কারণ।স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে বানান সম্পর্কে যথাযথ শিক্ষা দেওয়া হয় না। অনেকে আঞ্চলিক উচ্চারণে কথা বলেন এবং সেই অনুযায়ী লেখার চেষ্টা করেন-যা বানানের সমস্যাকে আরো জটিল করে তুলেছে। সবচেয়ে সমস্যার কথা হলো আমাদের দেশে অনেক শিক্ষিত লোক এমনকি অনেকক্ষেত্রে শিক্ষকরাও এসব সমস্যা থেকে পুরোপুরি মুক্ত নন।এসব বিবিধ কারণে বানান বিষয়ে অনেকের মধ্যে দুর্বলতা রয়ে গেছে এবং এসমস্যা থেকে উত্তরণও সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমান সময়ে শুদ্ধ বানানে লেখার ব্যাপারে মানুষ দিনদিন সচেতন হচ্ছেন। সময়ের সাথে সাথে এ বিষয়টির গুরুত্বও মানুষ উপলব্ধি করতে পারছেন। শিক্ষকতা করতে গিয়ে আমি দেখেছি বর্তমান সময়ের শিক্ষার্থীরা শুদ্ধ বানানে বাক্য লেখার ব্যাপারে অনেক সচেতন। লেখায় শুদ্ধতা যে কোন ব্যক্তির জন্য সম্মানজনক একটি ব্যাপার।শিক্ষার্থীদের সাফল্যের জন্য লেখার শুদ্ধতা একটি অপরিহার্য বিষয়। এই গুণটি কর্মক্ষেত্রেও আপনার সফলতার ব্যাপারে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।