প্রেম অবিনাশী গানের মতো-- চিরন্তন এক সত্যের প্রতীক। মানব মানবীর এই চির ধ্রুবতারার মতো অমোঘ সত্যকে উপেক্ষা করবার যো নেই। প্রত্যেকের জীবনেই প্রেম এক বা একাধিক বার আসে। কেউ প্রেমের মোহন বাঁশির সুরে বিমোহিত হয়ে নর-নারীর প্রেমের সুমহান সাগরে নিমজ্জিত হয়। মনের মানুষের সাথে মিলন হয়; আবার অনেকের প্রেম মহাসাগরে ভাসতে ভাসতে অতল গহীনে নিমজ্জিত হয়। তবু প্রেম-ভালোবাসা অমর, অক্ষয়, অমরত্ব লাভ করে। তরুণ কবি মেহেদী হাসান উজ্জল। ‘তুমি নামের অসুখ’ নিয়ে এই কবিতাগ্রন্থটি সাজিয়েছেন। এখানে শুধুমাত্র প্রেমময় অবেগ, অনুভূতি এবং প্রেমের সিম্ফনি অনুরণিত হয়ে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। ‘তুমি’ নামের সেই ভালোবাসার প্রতীককে কবি তার কবিতায় বারবার তুলে এনেছেন। তারুণ্যের সেই আবেগ কখনো অতিমাত্রায় প্রস্ফূটিত হয়েছে, কখনো বা ম্রিয়মান হয়ে বেদনায় মুষড়ে গেছে-- প্রেয়সীকে কাছে না পাওয়ার যাতনা তাকে কুঁরে কুঁরে খাচ্ছে। এভাবেই তার প্রতিটি কবিতা প্রেমময় হয়ে উঠেছে। তরুণ কবি হিসেবে তার অনেক কবিতা আমার ভালো লেগেছে। নিশ্চয় পাঠক মুগ্ধ হবেন, কিঞ্চিৎ হলেও আনন্দের খোরাক পাবেন, এ কথা নিশ্চিতভাবে বলে দেওয়া যায়। আনোয়ার কামাল কবি, গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও সাহিত্য আলোচক সম্পাদক-- ‘এবং মানুষ
কবি, গল্পকার ও গীতিকার। স্নাতক, পরিসংখ্যান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। মেহেদী হাসান উজ্জল নিজেকে বলেন শব্দের কথক। সাহিত্যরচনার শুরু কবিতা দিয়ে। ছোটবেলা থেকেই কবিতা ও ছন্দের প্রতি তাঁর আলাদা একটা ঝোঁক ছিল। সেই সূত্র ধরেই লেখালেখি জীবনের শুরু। মাধ্যমিক শ্রেণীতে অধ্যয়নকালেই তাঁর কাব্যপ্রতিভার প্রকাশ ঘটে। কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম ছাড়াই লিখতে থাকেন নিজের মতো করে। ২০১৮ সালে সারা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত "বিজয় ফুল উৎসব" এ "কবিতা রচনা" ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণ করে কলেজ পর্যায়ে দ্বিতীয় এবং উপজেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তখন থেকেই তাঁর লেখালেখির প্রতি আগ্রহটা আরও জোড়ালো হয়ে উঠে। লিখনিতে তাঁর যুক্ত হয় নতুন মাত্রা; লিখতে থাকেন নিত্যনতুন গল্প ও কবিতা। পাশাপাশি ২০২০ সালে তিনি গীতিকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। লেখেন কিছু বাংলা এবং ইসলামিক গান, যেগুলো দর্শক সমাদৃত হয়েছে। রীতিমতো শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুপ্রেরণা তাঁকে বই প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করে। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ— "তুমি নামের অসুখ।" মেহেদী হাসান উজ্জল এর জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলায়, তিতাসের সান্নিধ্যেই বেড়ে উঠা। শৈশবের যে ছন্দ তাঁর বুকের ভিতর এক ভরা নদীর জন্ম দিয়েছিল, সেই নদীর স্রোতই আজ কবিতা হয়ে ছাপা হয় কাগজের পাতায়।