আমাদের মাতৃভাষা আজ বিশ্ব দরবারে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি অর্জনের ক্ষেত্রে যাদের ত্যাগ ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়েছে, সেই সব মহান ব্যক্তির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা রেখে, জীবনের শেষ অধ্যায়ে এসে, অমর একুশকে আগামী প্রজন্মের কাছে আরও সুন্দর রূপে তুলে ধরার জন্য এবং বাংলা সাহিত্যকে রূপে-রসে সমৃদ্ধশালী করার নিমিত্তে আমার এ ক্ষুদ্র আয়োজন। আমার লেখা উপন্যাস ‘পদ্মা পাড়ের কানাই লাল’ সুসজ্জিত করার লক্ষ্যে এবং সম্মানিত পাঠকবৃন্দের তনুমনকে পদ্মা পাড়ের ভাঙ্গন কবলিত মানুষের জীবনযাত্রা সম্পর্কে সামান্য ধারণা দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলা সাহিত্যর প্রায় প্রতিটি পরতে পরতে স্পর্শ করার চেষ্টা করেছি। পদ্মার উত্তাল তরঙ্গ কানাই লালের স্বপ্নকে বারবার ভেঙ্গেচুরে তছনছ করে দিয়ে কিভাবে জীবন থেকে কানাইকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে, পাশাপাশি কানাই লালের ছোট বোন কনকের স্মৃতিময় রূপসী বাংলার রূপ-রসে ভরা হিজল ও তমালের ছায়া ঘেরা শৈশব ও কৈশোরকে কেনো পদ্মা থেকে টেনে এনে যৌবনকে সন্ধ্যা নদীর সাথে মিলিত করে দিয়েছে, তার সামান্য কিছু উপন্যাসের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র। যদিও ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে থেকে বইখানা আপনাদের হাতে অর্পণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি, তদুপরি মনের অজান্তে এবং চোখের অগোচরে অজস্র পরিমাণ ভুল রয়ে গেছে বলে আমার বিশ্বাস। আপনাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা রেখে বলছি, ভুলকে ভুল না ভেবে গল্পের গভীরতা অনুধাবন করে আমাকে ক্ষমা করলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। আমাকে লেখালেখিতে উৎসাহ দিয়ে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছেন আমার ফেসবুকের সকল শ্রেণির বন্ধু। তাদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ। এই বইখানার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে এবং নিখুঁত বিচার বিশ্লেষণ করে আমার ভুলগুলো সনাক্ত করে আমাকে শুধরে দিলে ধন্য হব। আপনাদের ভালোবাসা হোক আমার আগামীর পথ চলার সহায়ক। ধন্যবাদান্তে- আবু নাঈম খলিফা