আনোয়ার হোসেনের একমাত্র ছেলে রাফি। ক্লাস ফাইভে পড়ে। সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। পড়াশোনায় তেমন মনোযোগী নয়। বড় এবং ভালো স্কুলে পড়ে। আনোয়ার হোসেন এবং তার স্ত্রী দুইজনই নিজেদের কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাঁরা ছেলেকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু ছেলে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকতেই বেশি পছন্দ করে। আনোয়ার হোসেন একদিন বাড়ি ফিরে ছেলেকে জানালেন তিনি গল্পের বন্ধুর খোঁজ পেয়েছেন। ছেলেকে সেই গল্পের বন্ধুর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবেন। এই কথা শুনে রাফি খুব অবাক হয়।
গেমসের বন্ধু হয়, ক্লাসের বন্ধু হয়; গল্পের আবার বন্ধু হয় নাকি ? টুটুল এবং টুম্পা দুই ভাই বোন। দরিদ্র পরিবারের সন্তান। বাবা নেই। মা আছেন। দুই ভাই বোন প্রচন্ড মেধাবী। একদিন স্কুল থেকে জানানো হয় তাদের বকেয়া ফি পরিশোধ না করলে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না। এই কথা শুনে দুই ভাই বোনের মন খারাপ হয়। তারা পরীক্ষা দিতে চায়। পড়াশোনা করতে চায়।
দুই ভাই বোন অনেক ভাবনা চিন্তা করে বের করে তারা তাদের জমানো টাকা দিয়ে বড়শি কিনে পাশের বিল থেকে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করবে। সেই টাকা দিয়ে বকেয়া ফি দিবে। তারপর পরীক্ষা দিবে। আদৌ কি এটা সম্ভব? রাফির গল্পের বন্ধু কে হবে? টুটুল এবং টুম্পা শেষ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পারবে? আনোয়ার হোসেন পারবেন নিজের ছেলেকে ডিভাইস এডিকশন থেকে বের করতে?
ফারজানা আক্তার কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার চরমাহমুদ্দি গ্রামে ৫মে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মায়ের বড় সন্তান। বাবা ফজলু প্রধান। মা রুশিয়া আক্তার। মা বেঁচে নেই। মা শারীরিকভাবে সাথে নেই কিন্তু মানসিকভাবে আছেন। তাই মায়ের নামের আগে মৃত লেখা হচ্ছে না। একমাত্র ছোট বোনের নাম ফাতেমা আক্তার রিপা এবং ছোটো ভাইয়ের নাম ইয়াসিন প্রধান সাজিদ। পড়াশোনা করেছেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। পেশাগত দিক থেকে তিনি একজন ওয়েব ডেভেলপার। পাশাপাশি ওমেন্স কর্নার নামের একটি সংগঠনের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি পদে কর্মরত আছেন। নারীদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে কাজ করছে Srishti - সৃষ্টি। Srishti - সৃষ্টি'র চিফ এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। লেখালেখি শুরু করেছেন খুব বেশিদিন হয়নি। শুরুতে মতামত বিভাগে নিয়মিত লিখতেন। তারপর ধীরে ধীরে নানান বিষয়ে কনটেন্ট লিখতে শুরু করেন। ছোটোগল্প লেখার শুরু তখন থেকেই। তার লেখায় সামাজিক বিভিন্ন ইস্যু, পারিবারিক ইস্যু, মানসিক বিভিন্ন টানাপোড়ন, পজেটিভনেস ফুটে ওঠে। ছোটদের এবং কিশোর - কিশোরীদের নিয়ে তার একটি আলাদা ভাবনা রয়েছে। প্রযুক্তির যুগে শিশুরা কেমন জানি রোবটিকভাবে বড় হচ্ছে, অন্যদিকে কিশোর - কিশোরীরা তাদের সুন্দর সময়টা সৃজনশীল কাজে ব্যয় না করে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপচয় করছে। শিশু - কিশোরদের নিয়ে তার ভাবনা।