দিন দিন আমরা কেন জানি অতিমাত্রায় যান্ত্রিক হয়ে পড়ছি! ব্যস্ততার অজুহাতে একে অন্যের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। চারিদিকের সব সম্পর্কগুলো থেকে ক্রমান্বয়ে নিজেদের গুটিয়ে ফেলছি। নিজেদের জন্যও একান্ত কিছু সময় আজ আমাদের হাতে নেই। একটু ফুসরত পেলেই আমরা ভার্চুয়াল দুনিয়াতে ডুব দেই। সত্যি কথা বলতে কি দিন দিন আমরা খুব বেশি মাত্রায় আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছি। এই সুযোগে পশ্চিমা অপসংস্কৃতি, কৃষ্টি-কালচার আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়ছে। ফলে মানুষে মানুষে হৃদ্যতা আজ হারিয়ে যাচ্ছে। একে অন্যের প্রতি আমরা প্রচন্ড অমানবিক আচরণ করতেও কোনো দ্বিধাবোধ করি না। মানুষের সহজাত স্বভাব হারিয়ে আমরা পশুতে পরিণত হচ্ছি । এ থেকে মুক্তির উপায় হলো সম্পর্কের প্রতি যতœবান হওয়া। আর সবার সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে হলে আমাদের মনের রোগগুলো যেমন লোভ-লালসা, গোপন-কামনা বাসনা, হিংসা, ঘৃণা, ক্রোধ, রিয়া, অহংকার, গীবত, পরনিন্দা, পরচর্চা প্রভৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মানুষকে ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, এতে নিজের মন সবসময় প্রফুল্ল থাকবে। অল্পে তুষ্ট থাকতে হবে এবং নিজের চেয়ে নিচের মানুষের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করে সান্ত¡না নিতে হবে। আর সবসময় সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত তাকদীরের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। মনের রোগগুলোর ব্যাপারে লিখিত বিভিন্ন বই বেশি করে পড়তে হবে। এগুলোর মাধ্যমে নিজেকে সংশোধন করে প্রতিটা সম্পর্কের ব্যাপারে বিশেষ যতœবান হতে হবে। এভাবে হয়তো একদিন পারস্পারিক সম্পর্কের বন্ধন সুদৃঢ় হবে এবং অস্থিরতা কাটিয়ে সমাজে শান্তি ফিরে আসবে।
দেশের প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা যশোরের অভয়নগর থানার অন্তর্গত মথুরাপুর গ্রামে আব্দুল্লাহ আল মামুনের পৈতৃক নিবাস। ছবির মতো সুন্দর এই গ্রামেই তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তিনি স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাজীবনের সকল পর্যায়ে শিক্ষাবৃত্তি লাভ করেছেন। অদম্য মেধাবী মামুন ২০০৫ ও ২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ থেকে যথাক্রমে বিবিএ ও এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে সিএ সম্পন্ন করেন। প্রথম সুযোগেই সিএ পরীক্ষার সবগুলো লেভেল পাস করার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সিএ সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন। ২০১৪ সালে অর্জন করেন আইসিএবি'র ফেলো মেম্বারশিপ। বর্তমানে মামুন দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সিএ ফার্ম একনাবিন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসে ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত। বিচারক সহধর্মিণী, দুই সন্তান মানহা ও মাহাদ এবং মা-বাবার সঙ্গে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন। কর্মজীবনের অসম্ভব ব্যস্ততার পাশাপাশি লেখালেখিতেও সিদ্ধহস্ত মামুন। ইতোমধ্যে তাঁর লেখা সিএ জীবনের গল্প এবং সিএ কেন পড়ব নামক বই দুটি সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণির পাঠকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এছাড়াও, প্রকাশিত হয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মনের ডায়েরি শিরোনামে তাঁর লেখা আরও দুটি গ্রন্থ। অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত সিএ কীভাবে পড়ব মামুনের লেখা পঞ্চম বই।