"পরিবেশ আইন ও পরিবেশ আদালত"বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তাই নিয়ে আমাদের পরিবেশ। মানুষের কিছু স্বেচ্ছাচারী কাজের জন্য ভূ-পরিবেশ আজ বিপন্ন। সাথে সাথে বিপন্ন পরিবেশের মানুষ তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত এবং শংকিত । ইদানিংকালে এই শংকা থেকে মানুষ তার ভূ-পৃথিবী নিয়ে সচেতন হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক এবং দেশে দেশে পরিবেশ সচেতনতা সৃষ্টি আজ একটি আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন সভা সমিতি হচ্ছে, গড়ে উঠছে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন। এই সব সংগঠন পরিবেশকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করছে। মিটিং মিছিল আন্দোলন করছে। মানুষ আজ তার বিপন্ন পৃথিবীকে বাঁচাতে চায়। ফিরে পেতে চায় নির্মল পৃথিবী। গড়ে তুলতে চায় বাসযােগ্য ভূমণ্ডল। এই প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হচ্ছে বিশ্ব-পরিবেশ দিবস। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশ দিবসে গৃহীত হচ্ছে বিভিন্ন কর্মসূচি। দেশীয়ভাবে সরকারও বসে নেই। পরিবেশ রক্ষার জন্য জাতীয়ভাবে বৃক্ষমেলা থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পরিবেশ আদালত। পরিবেশ আদালতকে কার্যকর করার জন্য জারি হয়েছে পরিবেশ আইন, বিভিন্ন বিধি বিধান। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত আইন, বিধি, অধ্যাদেশ, পরিবেশ আদালত এই সব নিয়ে বিস্তারিত আলােচনা হয়েছে এই গ্রন্থে। পরিবেশ আদালত আইন, পরিবেশ আইন এই গ্রন্থে স্থান পেয়েছে যা আইনের ছাত্রছাত্রীর প্রভূত উপকারে আসবে এই গ্রন্থ। পরিবেশ আদালতে মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে একজন আইনজীবীর কাজেও সহায়ক হবে বলে আমার বিশ্বাস। আর তা হলেই আমার শ্রম স্বার্থকতা লাভ করবে।
সাহিদা বেগম ১৯৫৫ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বিনারচর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা- মরহুম আলহাজ্ব আনােয়ার আলী ভুঞা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। মা আলহাজ্ব হাসনা হেনা বেগম গৃহিণী। গবেষকপ্রাবন্ধিক ও আইনজীবী সাহিদা বেগম ১৯৭০ সালে গাইবান্ধা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৭৩ সালে সিদ্ধেশ্বরী মহিলা মহাবিদ্যালয় ঢাকা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্মান (বাংলা সাহিত্য) ১৯৭৫ এবং ১৯৭৬ সালে লাভ করেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। ১৯৮৪ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাভ করেন এন এন বি ডিগ্রি। কর্মজীবন : ১৯৮৫ সালে আইন ব্যবসা শুরু করেন। ঢাকা বারে যােগ দিয়ে ১৯৮৮ সালে যােগ দেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বারে । অদ্যাবধি আইন পেশায় নিয়ােজিত আছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের সহকারী এটর্নী জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। স্বদেশ, ইতিহাস এবং মুক্তিযুদ্ধ সাহিদা বেগমের রচনার মূল বিষয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তাঁর রচনার একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। এ পর্যন্ত। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ১৬টি গ্রন্থসহ ৬৯টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম গ্রন্থ যুদ্ধে যুদ্ধে নয় মাস ১৯৮৪ সালে বছরব্যাপী ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।