ব্যক্তিগতভাবে কবি সরদার আব্বাস উদ্দিনকে চিনি ২০১৮ সাল থেকে। পরিচয়কালে জেনেছিলাম, তিনি পেশায় আইনজীবী এবং নেশায় নাট্যকর্মী। পরবর্তীকালে (২০১৮ থেকেই) তিনি পুরোদস্তুর কবিতা চর্চাও শুরু করেন। এবং আমরা দেখতে পাই, এক ধরনের প্রতিবাদী বার্তাবহ কবিতা লিখে তা নিয়মিত ফেসবুক-মাধ্যমে প্রকাশ করছেন তিনি। তরুণ আইনজীবী ও নাট্য অভিনেতা সরদার আব্বাস একজন কবিরূপেও পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন । জীবিকার তাগিদে রাজধানীতে এসে ঢাকা জজ কোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হয়ে আর্থিক চাহিদা মিটলেও মনের চাহিদা মেটাতে স্কুলজীবনে শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় মঞ্চনাটকে অভিনয়টা ঢাকায় এসেও অব্যাহত রাখেন তিনি। কলেজজীবনে বন্ধুদের কয়েকজনকে নিয়ে গড়ে তোলা ‘জলপাই’ নাট্যদলের জন্য বিষয়ভিত্তিক পথনাটক ও মঞ্চ নাটক লেখা দিয়েই তাঁর লেখালেখি শুরু। ঢাকায় আসার পর তিনি ২০১০ সাল থেকে বেশ কয়েকটি থিয়েটারে কাজ করে এক পর্যায়ে খ্যাতিমান চলচ্চিত্র অভিনেতা সাদেক বাচ্চুর নাট্যদল মতিঝিল থিয়েটার (সার্কেল)-এ যোগ দেন। এরপর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন মঞ্চে অভিনয় করেন। নাটকের স্ক্রিপ্ট লেখার পাশাপাশি তিনি ভ্রমণকাহিনী এবং পত্রিকায় কলাম লেখেন। পেশাগত কাজ, অভিনয় ও লেখালেখির পাশাপাশি তিনি ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক পর্যায়ে মানুষের মানবিক প্রয়োজনে সাধ্যমতো পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। তাঁর জীবনসঙ্গী ডালিয়া আক্তার (ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর) এইসব ‘অনর্থক’ কর্মকাণ্ডে সার্বক্ষণিক মদদ দিয়ে চলেছেন। যে কারণে আব্বাসের এমন অগ্রযাত্রা দুর্বার গতিতে অব্যাহত রয়েছে । তাঁদের শিশুকন্যা আজাদী আবাবীল সায়মাও কম যায় না। বাবার সাথে সমান তালে কবিতা-গানে, ভ্রমণে তার দুঃসাহসী উপস্থিতি ইতোমধ্যেই আমাদের নজর কেড়েছে। সরদার আব্বাসের প্রথম কবিতাগ্রন্থ 'প্রশ্নবোধক চিহ্ন' ও অনুসন্ধিৎসু পাঠকদের নজর কাড়তে সক্ষম হবে বলে আমার বিশ্বাস