ধরুন, মাঝরাতে ফোন বেজে উঠলো আপনার, ফোনটা ধরতেই ওপাশ থেকে এক অপরিচিত মেয়ে কণ্ঠ বলে উঠলো, ‘ব্লেড দিয়ে কব্জিতে পোঁচ দিলে ভালো হবে নাকি গলায়?’ এই প্রশ্নের উত্তরে কী বলবেন আপনি? তাকে সহজ মৃত্যুর উপায় বাতলে দেবেন নাকি কেটে দেবেন ফোনটা? নাকি আরও কৌতূহলী হবেন? উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র রুপমের কাছে একদিন মাঝরাতে অপরিচিত নম্বর থেকে এমনই এক ফোন আসে। গল্পের শুরু সেখান থেকেই। বলা যায়, ওই এক ফোনেই তার পুরো জীবনটা উল্টে-পাল্টে যায়। একের পর এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখোমুখি হতে থাকে সে। তার জন্মের আগেকার এক অতীত থেকে উদ্ভূত রহস্যের জট তাকে জড়িয়ে ফেলে। রহস্যের এ জাল থেকে মুক্তি নেই যেন তার। রহস্যের পিছনে থাকা নিদারুণ সত্যের মুখোমুখি হয়ে জট খুলতে গেলে তাকে একের পর এক বাধা পেরিয়ে নিজ অতীতের মুখোমুখি হতে হবে। কিন্তু রহস্যের সমাধান করতে গেলেই তার পথ আগলে বারবার দাঁড়ায় প্রকাণ্ড এক কুৎসিত ছায়া– এক ভয়ংকর জিন। একসময় রুপম চমকে গিয়ে আবিষ্কার করে, জিনটা হুকুম তামিল করছে কেবল। তাহলে পিছনে কলকাঠি নাড়ছে কে? রুপম কী আদৌ পিছনের ওই ছায়াকে পরাস্ত করে রহস্যের অন্তে পৌঁছাতে পারে? না হেরে যায় সে? জানতে হলে আপনাদের যেতে হবে রুপমের সঙ্গে, যাবেন তো?
জন্ম ২০০৩ সালের ১৫ই ডিসেম্বর রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার পিরিজপুর গ্রামে। ২০২০ সালে পিরিজপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন এবং বর্তমানে রাজশাহীর শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার প্রতি প্রচুর আগ্রহ ছিল তার। সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন বান্ধবীদের উৎসাহেই তিনি লেখালিখি শুরু করেন। প্রথম রচিত গল্প "অলৌকিক ভালোবাসা, লিখেছিলেন চৌদ্দ বছর বয়সে। বর্তমানে তিনি অনলাইনে কবিতা ও ছোটগল্প লেখেন, যার কিছু কিছু পাঠকদের মাঝে খুব সাড়া ফেলেছে। তবে। তিনি যথেষ্ট সচেতন যে, প্রশংসা লেখকের দায়িত্বশীলতা বাড়ায়। তাই প্রশংসায় না ভেসে ভবিষ্যতে তিনি এমন কাজ করতে ইচ্ছুক যা সাহিত্যের ইতিহাসে ছাপ রেখে দেবে চিরদিনের জন্য। প্রথমবারের মতো চিলেকোঠা পাবলিকেশন থেকে তার লেখা প্রথম হরর-থ্রিলার "বারোটা বেজে বাইশ" বই আকারে প্রকাশিত হচ্ছে।