কথাসাহিত্যিক টিটনের প্রত্যাবর্তন! নব্বই দশকের স্বনামধন্য ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক শফিকুল আলম টিটন যে একজন গুরুত্বপূর্ণ গল্পকার, কথাসাহিত্যিক, সেটা ভুলতে বসেছিলাম আমরা। টিটন লেখালেখি শুরু করেন ১৯৮৭ সালে। নব্বইয়ের উত্তাল দিনগুলোতে তিনি জাতীয় পর্যায়ে সুপরিচিত লেখক। তখনকার জাতীয় দৈনিক ও সাময়িকীত তার অগণিত ছড়া, কবিতা, গল্প ছাপা হয়েছে। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৭ তিনি সাংবাদিকতা ও শিশু-কিশোরদের সাহিত্যপাতা সম্পাদনা করতেন। তখন অনেক তরুণ তার হাত ধরে লেখক হয়ে ওঠেন। কিন্তু সেই টিটন কোথায় হারিয়ে গেলেন! দীর্ঘ দুই যুগ ধরে তার কোনো ‘খবর’ ছিলো না লেখালেখির জগতে। অবশেষে জানা গেলো, তিনি আছেন রাজধানীর মিরপুরে, নিজগৃহ আর কর্মস্থলে সীমাবদ্ধ। অনির্বচনীয় এক আত্ম অভিমানে লেখালেখি থেকে দূরে সরে আছেন। শেষমেশ আমাদের কয়েকজনের বিশেষ অনুরোধ ও ‘পরিচর্যা’য় টিটন ট্র্যাকে ফেরার প্রণোদনা পেয়েছেন বলে আশ্বস্ত হই। বর্তমানে, গত এক বছর ধরে তাকে লেখালেখি ও সাহিত্যের আড্ডায় বেশ সরব দেখতে পেয়ে ভালো লাগছে। তিনি নতুন করে লিখছেন, পড়েছেন, প্রকাশও করছেন, যা আশাব্যঞ্জক। এর আগে অভিমানবশত তিনি নিজের কোনো বইও প্রকাশ করতে চাননি। কিন্তু এবার সেই দীর্ঘদিনের প্রচার বিমুখতা থেকে তাকে বের করে আনা হয়েছে। আর, তার এই প্রথম বই প্রকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে সমাপিকা প্রকাশ। শফিকুল আলম টিটনের প্রথম ছড়াগ্রন্থ ‘মামার হাতে জাদু আছে’ বলা চলে প্রকাশের আগেই পাঠকমহলে বেশ আগ্রহ জাগিয়েছে। একই সাথে তার রোমান্টিক ধারার গল্পগ্রন্থ ‘ভালোবাসার ভোর’ প্রকাশিত হলো, এ যেন টিটনের এক অন্যরকম ‘বিস্ফোরণ’। এই বইয়ের গল্পগুলো আমি পড়েছি। তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে বড়দেরও ভালো লাগবে টিটনের গল্পগুলো। আমি তার এই প্রথম গল্পের বইয়ের বহুল পাঠ ও প্রচার আশা করি। সেইসাথে তার কাছে জমে থাকা আরো অনেক গল্প, বই আকারে দ্রুত পাঠকের হাতে আসবে, এই প্রত্যাশা পোষণ করি। আতিক হেলাল