জীবন বহমান। বয়ে চলাই জীবনের ধর্ম। মানুষের চাওয়া-পাওয়া, ইচ্ছে-অনিচ্ছের তোয়াক্কা না করেই সে চলতে থাকে তার নিজস্ব ধারায়। কেউ চায় ক্ষমতার শীর্ষে নিজেকে দেখতে, কেউ চায় মানবিকতায় জীবনকে বিলিয়ে দিতে। আবার কারও আশা থাকে আর্থিক ঝুঁকিবিহীন নিশ্চিত জীবনের, কারও ইচ্ছে আর্থিক ঝুঁকিকেই জীবনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়ার। তবে জীবন কাকে কোথায় নিয়ে দাঁড় করাবে মানুষের সাধ্য কি তা জানার! কাহিনীর মূল চরিত্র চারুলতা। বড় দুই বোন নিরুপমা ও অনুপমা। একজনের জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনা অন্যজনের উপর প্রভাব ফেলবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে কার উপর কতটা ফেলবে তা নির্ভর করে ভাবনার গভীরতার উপর। কৈশোরেই বড় বোনের জীবনের একটি সিদ্ধান্ত বদলে দেয় চারুলতার চিন্তাজগত। ঘটনার প্রেক্ষিতে সে প্রতিজ্ঞা করে নিজের কাছে। অল্প বয়সের ভাবনা পরিণত বয়সে মানুষ ভুলে যায়। কিন্তু সে আঁকড়ে রাখে তার লক্ষ্য। সে লক্ষ্যেই নিজেকে গড়ে তুলছিল একটু একটু করে। প্রতিজ্ঞা রক্ষার স্বার্থে সে উপেক্ষা করে নিজের মানসিক এবং জৈবিক চাহিদা, ভুলে যেতে চায় জীবনের স্বাভাবিক ধারা। শেষ পর্যন্ত চারুলতা কি পেরেছিল জীবনকে তার নিজের লক্ষ্যপথে চালাতে নাকি জীবন তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় বহমান স্রোতধারায়?
নড়াইল জেলার বড়দিয়া গ্রামে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা। গান, লেখাপড়া, খেলাধুলা আর আনন্দের মধ্য দিয়ে কাটে শৈশব। আট বছর বয়সে বাবাকে হারালেও মা আর বড় ভাইদের নিবিড় ছায়ায় কাটে জীবন। স্বপ্ন ছিল গানের জগতে নিজেকে সঁপে দেওয়ার। এসএসসি পাস করার পর বড় ভাইয়ের কর্মস্থল চট্টগ্রামে গিয়ে চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ পাস করে ২০০৩ সালে ঢাকায় কর্মজীবন শুরু করেন ব্যাংকিং সেক্টরে।। তারপর বৈবাহিক জীবনে পদার্পণ। ২০০৯ সালে সন্তানের প্রয়ােজনকে গুরুত্ব দিয়ে চাকরি ও গান ছেড়ে পুরােপুরি মাতৃত্বের স্বাদ নেন। বর্তমানে দুই সন্তানের সন্তুষ্ট মা।। ২০১৮ সালে মাকে হারিয়ে নিজেকে সামলাতে কৈশাের ও যৌবনের লালিত শখ লেখালেখিতে মনােনিবেশ করেন।