দেশ ও প্রবাসজীবনের পটভূমিতে লেখা এ উপন্যাসের কাহিনিজুড়ে ব্যাপ্ত রয়েছে বেদনা ও বিরহের সুর। দুটি জীবনের প্রেম-ভালোবাসা, স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষার মাঝে যে শূন্যতা বিরাজ করে, তারই শিল্পিত উন্মোচন বলা যায় উপন্যাসটিকে। মানুষ কি তার স্বপ্নের দিনগুলো সময়ের ফ্রেমে বাঁধতে পারে? এ প্রশ্নেরই উত্তর যেন খুঁজেছেন লেখক এ বইয়ে। পাঠকককে যা ভাবতে বাধ্য করবে। মানুষের জীবনে যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তা অনেক সময় আজীবনের জন্য একটি ছাপ রেখে যায়। তেমনটি ঘটেছে এ উপন্যাসের নায়ক জাভেদ মাহমুদের বেলায়ও। পারিবারিক উদ্যোগে যাঁকে তিনি জীবনসঙ্গিনী করেছিলেন, শেষ পর্যন্ত তাঁর হননি তিনি। শত চেষ্টা করেও জাভেদ মাহমুদ তাঁকে নিজের করে নিতে পারেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটলেও রিমা রহমান তাঁর সিদ্ধান্ত বদলাননি। একসময় সমস্ত বন্ধন থেকে জাভেদ তাঁর স্ত্রী রিমাকে মুক্তি দিলেও জীবনে সুখী হতে পারেননি তিনি। পরিবার ও সমাজে মুখোমুখি হয়েছেন হাজারো প্রশ্নের। অন্যদিকে উপন্যাসের নায়কও জীবনকে নিয়ে দাঁড় করান হতাশার এক বালুচরে। সময়ের প্রেক্ষিতে এমনই একটি উপন্যাস, যাতে দুজন মানুষের সমান্তরাল জীবনবাস্তবতা রূপায়িত হয়েছে। মানুষের চাওয়া-পাওয়ার হিসাব কীভাবে অনেক সময় জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে, তারই এক চিত্র এ উপন্যাস।