দুনিয়ার আল্লাহ তাআলা মানব সৃষ্টি করে তৈরি করছেনে মানবকানন ।এ মানবের জন্য দুটি নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি । একটি পাপ পথ ও অন্যটি পুণ্য পথ । এ পার্থিব জগৎ হচ্ছে আখিরাতের খেতস্বরূপ । আমরা যেমনি ক্ষুণিবৃত্তি নিবারনের জন্য ফসল ফলানোর উদ্দেশ্যে জমিন ব্যবহার করে ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে অন্ন বা খাদ্য সংগ্রহ করে ক্ষুণিবৃত্তি নিবারণ করে থাকি । ঠিক তেমনি পারলৌকিক জগতেও কবর আযাব থেকে শুরু করে,হাশর,মিজান,পুলসিরাত ইত্যাদি ঘাঁটিগুলো উত্তরনের জন্য প্রয়োজন পণ্যকর্ম । আর এ পুণ্য কর্মের পুঁজি সংগ্রহের স্থান হচ্ছে দুনিয়া অথ্যাৎ দুনিয়ার পু্ণ্যকর্ম । দুনিয়া ছাড়া আখিরাতের এ পুণ্যকর্ম সঞ্চয়ের কোনো বিধান নেই। এ জগৎ থেকে বিদায় নেওয়ার পরই অর্থাৎ মৃত্যুর পরই ব্যক্তির সকল আমল বন্ধ হয়ে যায় । এ দুনিয়ার মানবকে ইবলিশের প্রতারণা থেকে বেঁচে থেকে চলার সঠিক পথের দিশা দেওয়ার জন্য,বিপথগামীদের সুপথ দেখাবার জন্য যুগে যুগে প্রেরণ করেছেন নবী ও রাসূলদেরকে । সঙ্গে দিয়েছেন ধর্মগ্রন্থ সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী । জীবন কীভাবে পরিচালিত করলে ইহজগৎ ও পরজগতে ভালো হবে । আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করে বেহেশত মহাসুখে অনন্তকাল থাকা যাবে তারই নির্দেশনা আছে,কুরআন,হাদীস,ও ফিকাহশাস্ত্রে ।
একদিকে আল্লাহর সন্তুষ্টি পথ কোনাটি?কী কী করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করে বেহেশত মহা সুখে অনন্তকাল অবস্থান ও তার লানত বা ক্রোধানলে নিপতিত হয়ে মানুষ স্বর্গ-সুখের পরিবর্তে অনন্তকাল ভয়াবহ নরক জ্বালা ভোগ করতে হবে তারই কিছু বাণী বা কথা ই বইটিতে রয়েছে ।