ডারউইনের কল্পকাহিনী!! ~~~~~~~~~~~~~ ডক্টর নুরবাকির মতে, প্রায় একশত বছর আগে, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রাইস্ট কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী চার্লস ডারউইন নামে একজন পাদ্রী, চিকিৎসা বা জীববিজ্ঞানের কোনো পূর্বজ্ঞান ছাড়াই দাবি করেছিলেন যে, মানুষ এমন একটি প্রাণী, যা এককোষী জীব থেকে বিবর্তিত এবং বানর হতে তার উদ্ভব (নাউযুবিল্লাহ)। অনেক বিজ্ঞানী তার এ জনপ্রিয় ভ্রান্ত মতের সমর্থনে ঝাঁপিয়ে পড়েন, এবং দ্রুতই বিবর্তন নামক এ কল্পকাহিনী পুরো গতিতে চলতে থাকে। এই দৃষ্টিভঙ্গি বছরের পর বছর ধরে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমনভাবে পড়ানো হয়েছিল যে, যেন এটি বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য ঘটনা। ডুয়েন গিশ নামে একজন আধুনিক বিজ্ঞানীর মতে, বিবর্তন (অর্থাৎ প্রাণী থেকে মানুষের উদ্ভব) কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বিবর্জিত একটি দার্শনিক ধারণা মাত্র। প্রকৃতপক্ষে, জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং বিবর্তনবাদের অন্যতম প্রবক্তা আর.বি. গোল্ডস্মিড সততার সাথে স্বীকার করেন যে, বিবর্তনের পক্ষে কোন দ্ব্যর্থহীন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ বিদ্যমান নেই এবং এটি কেবলমাত্র চিন্তাগত ধারণা। অক্সফোর্ড অভিধান অনুসারে, একটি তত্ত্ব বিজ্ঞানসম্মত হওয়ার জন্য এতে অবশ্যই সাধারণ নিয়ম-বিধির কাঠামোর মধ্যে পর্যবেক্ষণকৃত তথ্যগুলোকে মূর্ত হতে হবে। প্রফেসর গোল্ডস্মিড এবং প্রফেসর ম্যাকবেথ স্পষ্ট করেছেন যে, বিবর্তনের কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। এটি বিবর্তন তত্ত্বের পিছনের সত্য, যা অর্ধশিক্ষিতরা প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান বলে ধরে নেয়। কুরআনিক সাইন্সের আলোকে ডারউইনের বিবর্তনবাদের ভ্রান্তি কাটিয়ে সঠিক তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, জ্ঞান অর্জন ও অনুধাবনের জন্য শাইখ-উল-ইসলাম ডক্টর মুহাম্মদ তাহির-উল-ক্বাদরী কর্তৃক লিখিত "Creation of Man" এর বাংলা অনুবাদ "মানব সৃজন" বইটি পড়তে পারেন। -- ইঞ্জিনিয়ার মাকসুদ মোহাম্মদ নাসির, যুক্তরাষ্ট্র