গল্পের সারসংক্ষেপ রুবি,কুসুম, রেশমি, ফারহানা আমাদের ক্ষণিক হাওয়ার অন্যতম চরিত্র। যাদের ঘিরে গল্প তৈরি হয়েছে। আমাদের চারপাশের প্রতিটি মানুষের ব্যক্তি জীবনের ঘটনা প্রবাহ আলাদা হলেও একই বৃন্তে যেনো এসে মিলিত হয়। বাবা-মা হারা রুবির জীবনে ক্ষণিক হাওয়ার মতই আবিদ আসে। আবিদের প্রতি রুবির আবেগ, অপেক্ষা, সব কিছু এগিয়ে যায় গল্পের ধারাবাহিকতায়। কুসুম যে সংসার, স্বামী, শ্বাশুড়ি সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে চায় তার জীবনেও ফারহানা নামে ঝড় আসে। স্বামী কায়সারকে নিয়ে ফারহানার সাথে দ্বন্দ্ব তখনই জমে ওঠে যখন শাশুড়ী ফুলজান বিবি তার বুদ্ধিমত্তা, ব্যক্তিত্ব, এবং ছেলের বউয়ের প্রতি পাহাড়সম ভালোবাসা নিয়ে ছায়া হয়ে ওঠেন। দাদিজানের কূটকৌশল, দাম্ভিকতা রুবির জীবন থেকে আবিদকে সরিয়ে দেবার চেষ্টা সব কিছুই গল্পের সাথে এগিয়ে চলে শেষ পর্যন্ত। ফারহানা এমন এক চরিত্র যে পাঠকের মনে অম্ল-মধুর অনুভূতি দেবে। শামসুলের সরলতা, সন্তানের প্রতি রেশমির দায়িত্ব, ফুপি আমেনা বেগম , বড় চাচা কাশেম সাহেব , তওফিক প্রতিটি চরিত্র পাঠক মনে দাগ কাটবেই। ক্ষণিক হাওয়া ক্ষণিকের জন্য স্থায়ী হলেও উপন্যাস "ক্ষণিক হাওয়া" পাঠক মনে চিরস্থায়ী ভালোলাগা, ভালোবাসা তৈরি করবে এটুকু নিশ্চই বলাই যায়।
সেলিনা রহমান শেলী, জন্ম ৩০ শে নভেম্বর। বাবা মোঃ খলিলুর রহমান এবং মা নাসিমা বেগম। বর্তমানে শিক্ষকতায় আছেন। লেখালেখির শুরু ছোটবেলায়। তার গল্প, উপন্যাসে মানব মনের আবেগ, স্বপ্ন, ভালোবাসা এবং বাস্তবতার সংমিশ্রণ ঘটতে দেখা যায়। নিজের এক ভালোবাসার জগৎ গড়ে তুলেছেন গল্প, কবিতা লেখার সাথে। ব্যক্তি জীবনে লেখিকা আবেগি কিন্তু বাস্তবতার মাঝেই বসবাস করতে ভালোবাসেন।