আমার কথা রূপগঞ্জ একটি সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যময় জনপদ যার রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল অতীত। কিন্তু এ অতীতকে ধারাবাহিকভাবে লিপিবদ্ধ করে যাননি সমকালীন কোন ইতিহাসবিদ বা বুদ্ধিজীবি। ফলে অনুদ্ঘাটিত অতীতকে খূঁজে বের করা অত্যন্ত দুরূহ কাজ। ইতিহাস বা সাহিত্যের ছাত্র না হয়েও শুধুমাত্র শিকড় ও হৃদয়ের টানে একাজ হাতে নিয়েছি। এ সম্পর্কে শুধু ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি এবং আশা কোন গবেষক বা পণ্ডিত ব্যক্তি ভবিষ্যতে রূপগঞ্জের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনায় সচেষ্ট হবেন। এ অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাসে যে তথ্য পাওয়া যায় তা বৃহত্তর ঢাকা জেলা অথবা পূর্ববঙ্গের বিস্তারিত বর্ণনা থাকলেও রূপগঞ্জের আলাদা তথ্য নেই। কিন্তু রূপগঞ্জ ঐ অঞ্চলের অংশ এবং সে হিসেবে তা রূপগঞ্জেরও ইতিহাস। তাছাড়া সামগ্রিক পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, ঐ ইতিহাস রূপগঞ্জের ইতিহাসের প্রতিফলন। কাজেই রূপগঞ্জের ইতিহাস রচনায় ঐ ইতিহাসকে ভিত্তি হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। রূপগঞ্জের শিক্ষিত, সংস্কৃতবান, সচ্ছল ও জমিদার শ্রেণীর সিংহভাগ লোক ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত যাদের বেশিরভাগই ১৯৪৭ ইং সালের পর দেশ ত্যাগ করেছেন। ফলে ব্রিটিশ আমল ও তদপূর্বকালের অনেক তথ্যই সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ অনেকটা উপেক্ষিত এবং এ উপজেলা সম্পর্কে সামান্যই তথ্য আছে। ফলে প্রাপ্ত তথ্য ও নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১৯৪৭ ই সাল পরবর্তী ঘটনা বইটিতে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।