গত প্রায় তিন বছর পুরো পৃথিবীর মানুষ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে ‘কোভিড ১৯’ মহামারিতে অস্বাভাবিক এক সময় অতিবাহিত করেছেন। অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। অনেকে এখনো মহামারি পরবর্তী বিভিন্ন রোগ জটিলতায় ভুগছেন। ২০১৯-এর ডিসেম্বরে চিনের উহান শহরে যার শুরু ২০২২-এর শেষ দিকে এসে এই মহামারির প্রকোপ অনেকটাই কমে এসেছে। যদিও মাঝে মাঝেই চিন ও অন্যান্য কয়েকটি দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যায়। তবু আশা করা যাচ্ছে ২০২৩-এর প্রকোপ আরও কমে আসবে। পৃথিবীর থেমে যাওয়া জীবনে আবার গতি সঞ্চার হচ্ছে। মানুষ আবার স্বাভাবিক কর্মজীবনে প্রবেশ করছে। থেমে যাওয়া যানবাহন, লঞ্চ, জাহাজ, বিমানের যাতায়াত আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। মানুষ আবার পৃথিবীর মুক্ত আকাশ বাতাসে ফিরে জীবনের আস্বাদ গ্রহণ করতে শুরু করেছে। কিন্তু হঠাৎ করেই তাতে কিছুটা বাদ সেধেঁছে সাম্প্রতিক ২০২২-এর শুরুর দিকে হঠাৎ জেঁকে বসা রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। করোনার প্রথম দুই বছরের বিপর্যস্ত অবস্থা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এই যুদ্ধ পৃথিবীর প্রায় অনেক দেশকেই অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। যার প্রভাব মানুষের দৈনন্দিন জীবনেও পড়েছে। কিন্তু জীবন তো থেমে থাকার নয়। নদীর প্রবহমান ধারার মতোই তা বাধা বিঘ্ন সত্ত্বেও অবিরাম বহমান। জীবনের যত আনন্দ, বেদনা, স্বপ্ন, ভালোবাসা, প্রেম কিছুই থেমে থাকে না। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই তা নিরন্তর বহমান। এই পৃথিবীর সৌন্দর্য অপরিসীম। সমুদ্র, নদী, পাহাড়, পর্বত, আকাশ, বনভূমি, দিগন্ত বিস্তৃত খোলা মাঠ। সাথে নিজের জন্মভূমির জন্য দেশপ্রেম, মানবিকতার জয়গান, ভালোবাসা, প্রেমের যত রং। সবকিছু নিয়েই এই কাব্য গ্রন্থের কবিতাগুলো রচিত হয়েছে। জীবনের সূক্ষ্মতম অনুভূতিগুলোর ভেতরের গল্প ছোঁয়ার আন্তরিক চেষ্টা রয়েছে কবিতাগুলোতে।
) পঞ্চাশ দশকের মাঝামাঝি জন্মগ্রহণ করেন। পেশায় চিকিৎসক। চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ। দীর্ঘদিন সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত ছিলেন। সরকারি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে মূলত শিক্ষকতার সাথে জড়িত ছিলেন। অবসর গ্রহণের পর এখনো চিকিৎসা সেবা প্রদানে জড়িত আছেন। ছোটোবেলায় কিছুটা লেখালিখির অভ্যাস ছিল। তারপর দীর্ঘ বিরতি। গত পাঁচ বছর ধরে নিয়মিতভাবে কবিতা লিখে যাচ্ছেন। মূলত পেন্সিলের পেইজে লিখে থাকেন। অন্যান্য দু-একটি ফেসবুক-ভিত্তিক গ্রুপেও লিখে থাকেন। ইতোমধ্যে তার দুটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: শেষ বিকেলের আলো (২০২১) অসমাপ্ত গন্তব্য (২০২২)