দু’জন মানুষ ক্রমান্বয়ে মিশে যায় একটি মানচিত্রে। একজনের গল্প জমতে থাকে আরেকজনের হৃদয়ে। যাপিত জীবনের মায়াময় চিত্র আঁকে তারা একে অপরের হৃদয়ের ক্যানভাসে! খুঁজে পায় বেঁচে থাকার উপলক্ষ। ছবি আঁকে তারা একে অপরের মানসপটে। হৃদয়ে তাঁবু টানিয়েছে, আর হৃদয়ের বাম কোণে এক টুকরো জমি কিনেছে যে পরমেশ্বরী তার নাম দেওয়া হলো―হৃদিতা। ভালোবাসার বৃষ্টিতে ভিজে, অনলে পুড়ে, কাটায় যে একেকটি বিনিদ্র রজনী, সেও তার নাম দিলো―বিনিদ্র। বিনিদ্র-হৃদিতার মিষ্টি প্রেমে সারা বছর ধরে কখনো ঝরে ইলশেগুঁড়ি, কখনো শিশিরপাতে ভিজে যায় হৃদয়ে জন্মানো কচি ঘাসের ডগা। তাদের ভালোবাসা লেনদেনের নিরবদ্য রশিদ থেকে ১৪টি পত্রগীতালি তুলে ধরা হলো এই বইয়ে। যে পত্রগুলো শুধু বিনিদ্র-হৃদিতা নয়, যেকোনো প্রেমিক যুগলের হৃদয়ের কথা বলে। তারা দুজন দুজনকে নিয়ে আকাশ-পাতাল ভেবে যায় নির্বিঘেœ। সেই ভাবনাগুলো ফুটে উঠেছে তাদের ১২টি একক ভাবনার কাব্যগাথায়। বইটিতে বিনিদ্র-হৃদিতার ভালোবাসা, মান-অভিমান আর বিরহ-মিলনের দুরন্ত সংলাপ রয়েছে ১৮টি। দুজনের ভালোবাসার নানা রূপ ও বিবিধ বৈশিষ্ট্য প্রকাশ হয়েছে বইয়ের প্রতিটি পাতায়, প্রতিটি লাইনে। অকৃত্রিম প্রেম ও নির্ভেজাল স্বার্থহীন ভালোবাসা যে বৈরাগ্যের নয় বরং উপভোগের সেই বিষয়ের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই বইটি। জানতে হলে পড়তে হবে বিনিদ্র-হৃদিতার উত্তাল প্রেমের হৃদকথন ‘অদৃশ্য সুতোর টানে’।