বাবা-মায়ের একমাত্র কন্যাকে দেশীয় বখাটেদের হাত থেকে বাঁচাতে পাঠানো হয় প্রতিবেশী দেশ ভারতে, সেখানে মূলত পড়াশুনা করতে গেলেও চারিত্রিক অধঃপতনের কলঙ্ক জোটে মেয়েটির কপালে, অতঃপর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে পাঠানো হয় সুদূর অস্ট্রেলিয়ায়। মেয়েটি অস্ট্রেলিয়ায় আসতে না আসতেই একটি রোমহর্ষক খুনের ঘটনা ঘটে, তাদের সমসাময়িক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ। তাই সদ্য পা রাখা এ মেয়েটিসহ বেশ কিছু শিক্ষার্থীর জীবনের গল্প জানতে হয় পুলিশের, এ গল্প জানার ছলে যে তদন্ত নিয়ে আগায় তার মধ্যেই ঘটে একটি নাটকীয় ধর্ষণের ঘটনা। এতে ধসে যায় একটি কর্পোরেট কোম্পানি। নড়েচড়ে বসে অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়া, মান বাঁচাতে দ্রুত আসামী গ্রেফতারে গোয়েন্দা পুলিশকে চাপ দেয় সরকার। খুন ও ধর্ষণের কলঙ্ক মুছতে তৎপর পুলিশ হিসসিম খায়, প্রকৃত দোষীদের ধরতে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ সহায়তা নেয় ঢাকা, আগ্রা, কলকাতা ও আগরতলার পুলিশের। মেয়েটিও জীবন বাজি রেখে আয়নাবাজির বিরুদ্ধে লড়ে, হার-জিতের জীবনের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কি জোটে তার কপালে, তা হন্যে হয়ে খোঁজে মিডিয়া। সেই সাথে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জীবন বিশ্লেষণ করে একটি সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে পুলিশ; যেখানে খুঁজে পায় রহস্যের ধূ¤্রজাল, ধোঁয়াশা। তবে নিখুঁত বিশ্লেষণ আর জবানবন্দিতে বের হয়ে আসে নতুন গল্প। একদিকে রক্তভেজা লাশ আরেক দিকে নিগূঢ় প্রেম! চৌকোস গোয়ান্দা দলকে হিমসিম খেতে হয় এ গল্পের নাটকীয় মোড়কে সামলে নিতে। শেষ পর্যন্ত আসামীদের স্বীকারোক্তিতে পুলিশ সিদ্বান্তে পৌঁছে কে প্রকৃত খুনী ও কি ছিলো ধর্ষণের নেপথ্যে, কে আসল নাটেরগুরু! ধুন্দুমার গল্প রোমাঞ্চকর প্রেমানুভূতি, গল্পের বাঁক, ফিলোসফিক্যাল স্টেটম্যান্ট সব কিছুর সমন্বয় আছে গল্পে। ফুটে ওঠে কি করে অতি ভালোবাসা একসময় বিষে পরিণত হয়, সেই বিষের ছোবলে কি করে ধ্বংস হয় তিলতিল করে গড়ে তোলা ইমারত। কি করে নারী আসক্তি জীবনের সুতো ছিঁড়ে দেয়, ঘুণে ধরে মনের দেয়ালে। সব মিলিয়ে চমৎকার ভাষাশৈলী, গুড হিউমার ও এক অভিনব কাহিনীর রুদ্ধশ্বাস থ্রিলার উপন্যাস ‘ক্যান্ডেল লাইট’।
আশা করি আপনি ভালো আছেন। আমি খুবই আনন্দিত যে আপনি আমার সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শুরতেই আপনার মঙ্গল কামনা করে আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরছি। আমার পুরো নাম মোশাররফ হোসেন নির্জন।বর্তমানে বাস করছি অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরে। রোমান্টিক থ্রিলার ‘ডার্ক চকলেট’ গ্রন্থ লিখে আমি লেখক হিসেবে আত্ন-প্রকাশ করি।বইটি ঢাকা, সিডনি, লন্ডনে আনুষ্ঠানিক ভাবে মোড়ক উন্মোচণের সুযোগ লাভ করে। লেখালেখির অভ্যেস আছে স্কুলের গন্ডি থেকেই। প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু হয় দৈনিক ভোরের কাগজে সাংবাদিক হিসেবে। সাংবাদিকতায় আছে প্রায় পনেরো বছরের অভিজ্ঞতা।বর্তমানে কাজ করছি জনপ্রিয় গণমাধ্যম বাংলাভিশন ও ঢাকাপোস্টে। তাছাড়া এবি নিউজ অস্ট্রেলিয়া, এবি নিউজ ইনন্টারন্যাশনালের (ইংরেজি গনমাধ্যম) চিফ রিপোর্টার হিসেবে নিয়োজিত আছি। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে যুক্ত আছি অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া ক্লাবে। টিম লিডার (ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া)হিসেবে সঙ্গি হয়েছি এমএলসি ইন্টারন্যাশনালে। প্রতিষ্ঠাতা ও আহবায়ক হিসেবে কাজ করছি অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটি ক্রিকেট নিয়ে।অস্ট্রেলিয়ার প্রতিটি রাজ্যে এই প্লাটফর্মটি কাজ করছে ক্রিকেটের উন্মাদনা বাড়াতে। সেই সাথে বেঙ্গল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রোগামের প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার হিসেবে কাজ করছি। নিয়মিত অস্ট্রেলিয়ার খোজ খবর জানানো ও বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয়ে লেখালেখি অব্যাহত রেখেছি।‘ক্যান্ডেল লাইট’ আমার দ্বিতীয় ও ‘ব্ল্যাক রোজ’ তৃতীয় উপন্যাস। প্রকাশের অপেক্ষামান আছে আরো বেশ কয়েকটি থ্রিলার উপন্যাস। দেশীয় গনমাধ্যম: আনন্দদিন, আমাদের অর্থনীতি, খাসখবর, বাংলানিউজ টোয়েন্টি ফোর ও ডিবিসি টেলিভিনে কাজ করেছি অতিতের দিনগুলোতে। ব্যক্তিগত আমি জীবনে বিবাহিত। আমার সহধর্মনীও সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছে দেশীয় সংবাদ ভিত্তিক টেলিভিশন ডিবিসিতে। আমি ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার তিতাস বিধৌত আখাউড়ায় জন্মগ্রহণ করি। রেলওয়ে স্কুল, ভিক্টোরিয়া কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যায়ন করে পাড়ি জমাই সুদূর অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে ইডিথ কাওয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করি।হিসাব বিজ্ঞান ও সাংবাদিকতায় উচ্চতর শিক্ষাসহ ঝুলিতে আছে বেশকিছু প্রফেশনাল কোর্স। পেশাগত জীবনে সাংবাদিকতা ছাড়াও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রাজ্যভবনে ক্রয় কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছি। তাছাড়াও আত্মপ্রকাশ করেছি উদ্যোক্তা হিসেবেও। বিনিয়োগ করেছি নিজ দেশে। ফ্যাশন হাউস, সুপারশপসহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের জন্য হাত বাড়িয়েছি। অবসরে বই পড়া, লেখালেখি করতে ভীষণ পছন্দ করি। সুযোগ পেলেই বের হই ভ্রমণে; গড়ে তুলি প্রকৃতির সঙ্গে সখ্য, আর সেখান থেকে রসদ যোগায় লেখালেখির।