রাজনীতি, রাজ্য-রাজা, মন্ত্রিত্ব শব্দগুলো শুনলেই আঁতকে ওঠে। ‘যুদ্ধধ্বনি, মৃত্যু, সমরাস্ত্র-ক্ষমতা’ পড়েই উৎকোচিত কান্নাময় তার মন চ বর্ণের নাম পেলেই মস্তিষ্ক সংকেত দিয়ে রক্ত সরণ বেড়ে যায় তার হ্রেষা আর নিষ্পাপ বৃদ্ধ-নারী, শিশুর আর্তনাদে ঘুম ভেঙে যায় দাঁড়িয়ে ওঠে সে প্রলয় প্রতিশোধের কালো শিখারা অবাধ্য হয়। ধ্বংসের কোলাহলে থেমে যাওয়া পূর্বপুরুষের গত আত্মারা ডাকতে থাকে প্রতিশোধ নিতে বলে। বলছিলাম এক বেঁটে ভাস্করের কথা... ধুলোবালি আর সাধনা দিয়ে ফসলের মাঠে আপন লীলার মাধুরী নুয়ে গড়ে তোলে ভাস্কর্য। প্রতিশোধের অদম্য অগ্ন্যুৎপাতে ভাস্কর্য গড়ে আর ভেঙে ফেলে অজ পাড়া-গাঁ থেকে শহর-নগর-মহানগর-রাজধানী, বিদেশে এখন সে ফেরির বিশাল মার্কেট।
হঠাৎ সে কোনো বালু-বন্দরে নামে চারদিক ঘিরে ধরে বিশাল জনতা। মনের সমুদয় দরজা-জানালা-বারান্দা বন্ধ করে সমস্ত চোখ খুলে দেয় তারপর একে একে গড়ে তোলে রাজার শান-স্বরূপ-সাম্রাজ্য... বাগদাদ থেকে ইউক্রেনের বিশাল সিংহাসন মঙ্গোলীয় রাজ অশ্বের সুশক্ত পিঠ বর্মের আবেশে উত্তেজিত আসল চেঙ্গিস খান। তার অভিজ্ঞ দুই পায়ে আবিষ্ট বাগডোর রক্তবিলাসী ক্ষুধার্ত খড়গ হস্তদ্বয়ের সমীপে আহা! কী মহাকারিগর, কী মহাসৃষ্টি