শহীদুল্লাহ আনসারী। জন্ম ঢাকার এক নম্বর সাংসদীয় আসন দোহার উপজেলাধীন শাইনপুকুর (খড়িয়া), বর্তমানে শান্তিনগর গ্রামে। সাধারণ এক মুসলিম পরিবারে। ১৯৫৯ সালের ২ জুলাই উদীয়মান সূর্যের হাত ধরে সমাজদরদী এম. কুতুব উদ্দিন’র কনিষ্ঠপুত্র এম্ এস্ আলী (শৈশবে পিতৃহারা) এবং বিদ্যানুরাগী মা বেগম নূরজাহান আলীর সংসার আলোকিত করে ধরণীতে আসেন তিনি। এ মেধাবী শিক্ষার্থী প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করেন শাইনপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অত:পর মুকসুদপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে (বাণিজ্য বিভাগ) ঢাকা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সম্মিলিত মেধা তালিকায় সপ্তম স্থান সহ প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। তিনি কৃতিত্বের এ দাঁড় বেয়ে এগিয়ে যান বিদ্যাসাগরীয় বিশ্বে-মহাবিশ্বে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বের সাথে পর্যায়ক্রমে অর্জন করেন বি.কম সম্মান, এম.কম (ফিন্যান্স) ও এলএলবি ডিগ্রি সনদ। পরবর্তীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (কলেজ) থেকে হিসাব বিজ্ঞানে এম.কম, রাজশাহী ও প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে আইনে পি এইচ ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এ ছাড়াও তিনি কলকাতা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করেন। এছাড়াও তিনি সিএ. সহ দেশে বিদেশে কতিপয় পেশাগত সনদ, প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেট লাভ করেন। পেশাগতভাবে তিনি আইন, ফিন্যান্স ও হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে বিভিন্ন মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটে প্রায় চল্লিশ বছর অধ্যাপনা করেন। কবি শহীদুল্লাহ আনসারী শৈশব থেকেই সাহিত্য চর্চা করেন। এ পর্যন্ত তিনি শিশুশিক্ষা, শিশুসাহিত্য সহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা, আইন, অর্থনীতি ও গবেষণার উপর প্রায় আড়াইশত গ্রন্থ প্রণয়ন করেছেন। লেখক ‘তুচ্ছ তৃণের কষ্ট দাহন’ কাব্যগ্রন্থটিতে শব্দ ছন্দ দিয়ে নিখুঁতভাবে ভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। তিনি কবিতায় অবলীলায় দেশ প্রেমের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। নিসর্গের শান্তিময় একটি ফুলেল পৃথিবী প্রত্যাশা করেন, কাব্যিক ভাষাশৈলীতে। নিজেকে খুঁজে পান প্রজাপতি আর কোকিলের ভিড়ে। বেদনাসিক্ত রসে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে লেখক তুচ্ছ তৃণের কষ্ট নির্দ্বিধায় অবগাহন করেন। বিচক্ষণতা ও প্রজ্ঞার নান্দনিকতায় গ্রন্থিত কবিতা হয়ে উঠেছে শৈল্পিক। প্রেম, প্রকৃতি ও সুফিবাদের মতো বিষয়কে উপজীব্য করেছেন। কবির কবিতা পাঠে হৃদয়ে ভাবাবেগের সৃষ্টি হয়। আশা করি লেখক শহীদুল্লাহ আনসারীর এ কাব্যগ্রন্থটি পাঠক প্রিয়তা পাবে।