১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করে এদেশের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রকে শেষ করে দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান। যে জীবন ছিল মৃত্যুর চেয়েও কঠিন এবং দুর্বিষহ। উভয়েই হারিয়েছিলেন সব, কিন্তু শেখ রেহানা ছিলেন ১৮ বছর বয়সি সদ্য কৈশোর পেরোনো এক মেয়ে, যিনি অপরিণত বয়সের ঝুঁকিতে যাপন করেছেন বিপন্নতর জীবন। অসমাপ্ত লেখাপড়া পুনরায় চালু করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন বারবার। শান্তিনিকেতন বা দিল্লি বিশ^বিদ্যালয় তাঁকে পড়াশোনার সুযোগ দিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাদানের অপারগতা প্রকাশ করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা হয়ে জন্ম নেওয়া কি তাহলে অভিশাপ? এই প্রশ্নে উত্তর পেয়েছেন: না, তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে এবং সেই সম্মান তাঁকে দিয়েছে দিল্লির ব্রিটিশ দূতাবাস। ‘ডটার অব শেখ মুজিব’-কে ব্রিটিশ দূতাবাস ভিসা দিয়েছে সসম্মানে। ১৯৮১ সালে রাজনীতিবিদ হিসেবে শেখ হাসিনার দেশে প্রত্যাবর্তন আবার এদেশে স্বাধীনতার মূল্যবোধ এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সুযোগ করে দেয়। অনেক ত্যাগ, তিতিক্ষা এবং রক্তস্রোতের পথ পেরিয়ে দেশের এই নবযাত্রা। দেশের নবযাত্রায় সাথি হয়ে আছেন শেখ রেহানা, পর্দার আড়ালে নিভৃতচারিণী হয়ে। বড় বোন শেখ হাসিনার সাহস এবং উদ্দীপনার উৎস শেখ রেহানার জীবনের অজানা অধ্যায় খুঁজে বের করার দুরূহ কাজটি করার চেষ্টা করা হয়েছে আগামী প্রজন্মের জন্য।