পুলিশের লোকেরা এক মহিলার মুণ্ডুহীন লাশ উদ্ধার করেছে। লাশের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে লাশের বাঁ-হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে থাকা আংটিতে আরবি হরফে খোদাই করে ‘জেসমিন’ শব্দটা লেখা রয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট থেকে জানা যায়, চল্লিশ থেকে পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সী কোনো বন্ধ্যা নারীর লাশ। লাশের রক্তে নিউরোটক্সিন বিষের উপস্থিতি রয়েছে। অথচ শরীরের কোথাও সাপের ছোবলের কোনো চিহ্ন নেই। আঁচড়-খামচি বা অন্য কোনো ক্ষতও নেই। ধারালো অস্ত্রে একবারেই মাথাটা দেহ থেকে আলাদা করা হয়েছে। হত্যার পরে লাশের সাথে সংগম করেছে। লাশের পাকস্থলীতে থাকা খাবারের নমুনা পরীক্ষা করে সবচেয়ে রহস্যময় মনে হয়। বেশ কয়েকপ্রকার দ্রব্যের মিশ্রণ। যার মধ্যে রয়েছে ধুতরা ফুলের মধু, বাঁশগাছের ফুল অথবা ফল, সামান্য পরিমাণে খাঁটি স্বর্ণের মিহি গুঁড়ো, বেজি-গুইসাপ-ময়ূর ও ইগল এই চার প্রাণীর রক্ত এবং অন্য কোনো মানুষের শরীরের কোনো একটা প্রত্যঙ্গের কিছুটা অংশ, আর সেই সাথে টকজাতীয় কোনো ফলের আচার ও আচার মসলার মিশেল। লাশের পাকস্থলীতে অন্য কোনো মানুষের প্রত্যঙ্গের যে নমুনা পাওয়া গেছে, তা ব্যাপক পরীক্ষানিরীক্ষা করেও বোঝা যায়নি ওটা ঠিক কোন প্রত্যঙ্গের অংশ। পাকস্থলীর অ্যাসিডে টিসুগুলো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু এটা বোঝা গেছে, ওটা কোনো পুরুষের দেহ থেকে নেয়া হয়েছে।
মােঃ আফজাল হােসেন। জন্ম : ১০ নভেম্বর ১৯৬৩, বরগুনা। বাবা : মরহুম খাের্শেদ আলী তালুকদার। মা : বেগম সুরাতন নেছা। পড়াশুনা – বরগুনা সরকারী বালক বিদ্যালয়, বরগুনা সরকারী কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ভ্রমণ করেছেন ইউরােপ, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ ক'টি দেশ। এটি তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ-পঞ্চাশিকা। জাগৃতি প্রকাশনী থেকেই। দুই কন্যা অথৈ, অর্থী এবং স্ত্রী ফেরদৌসীকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস।