জোক্স এ পার্ট, সত্যি বলতে কী ফটোশপ থাক বা না থাক, অলৌকিক জিনিসে - মানুষের বিশ্বাস কোনোদিনই কমেনি; তাই পির-ফকির, ধোঁকাবাজদের দৌরাত্ম্যও কমেনি। দিনদিন এসব বরং বাড়ছে। এফ.এম. রেডিওতে সারা দেশের জনতা এসে নিজেদের তথাকথিত ভূতের গল্প বলে শেষে বলছে, "বিশ্বাস করেন রাসেল ভাই!" ঘি টিম (Team GHI - Ghost Hunter Investigators) থেকে শুরু করে বহু টিম গড়ে উঠেছে যারা রাতের বেলা নানান পরিচিত-অপরিচিত জায়গায় ভূতের খেলা দেখিয়ে লাইভে এসে হাজার হাজার ফ্যান ফলোয়ার কামাচ্ছে। এদিকে দেশে হাজার হাজার জ্বিনের ডাক্তারের জন্ম হয়েছে, নানান মানসিক রোগকে জ্বিনে ধরা বলে চালিয়ে ব্যবসা করে লালে লাল হচ্ছে এরা। তো এই যে এত হাজার হাজার জ্বিন-ভূতের কাহিনি, এসব নিয়ে বিজ্ঞান কী বলে? এসবের কোনো প্রমাণ এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে কি? অনেক জায়গায় যে বলে জ্বিন- ভূত অন্যমাত্রার প্রাণী, বিজ্ঞান এখনও এসবের ব্যাখ্যা করতে পারেনি সেগুলো কি ঠিক? বিজ্ঞান কি এলিয়েনের অস্তিত্ব মেনে নিয়েছে, কিন্তু জ্বিন মানতে পারছে না? বিজ্ঞান বলে- জ্বিন-ভূত, কালো জাদু, টেলিপ্যাথি, টেলিকাইনেসিস এসবের শূন্যটা প্রমাণ আছে। সারা পৃথিবীতে অন্তত পঁচিশটা বিশাল অঙ্কের প্রাইজ চালু আছে অলৌকিক ঘটনার অন্তত একটা প্রমাণ দেখাতে। এখন পর্যন্ত একটা কংক্রিট প্রমাণও কেউ দেখাতে পারেনি। তাই যদি হয়, এত এত ভৌতিক ঘটনার ব্যাখ্যা কী? উত্তর হচ্ছে ব্যাখ্যাগুলো তিন রকম: ১. গুজব। ২. ইচ্ছাকৃত মিথ্যাচার। ৩. যা দেখেছে, তা তা না। আমরা ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞান গ্রুপের ক'জন খুঁতখুঁতে মানুষ, বহুদিন ধরে দেশের আনাচেকানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছি জ্বিন-ভূতের সন্ধানে। এখন পর্যন্ত একটাও খুঁজে পাইনি। বইয়ের শুরু করব আমাদের কিছু কেস স্টাডি দিয়ে। এরপর আস্তে আস্তে অন্যান্য কারণেও যাব। আগেই হালকা স্পয়লার দিয়ে রাখি- ভূতের ঘটনার এক নাম্বার কারণ হচ্ছে গুজব আর মিথ্যাচার। বিসিবি টিমের ভূত অভিযানগুলোতে আমরা এর বাইরে কিছু পাইনি।