যে শহরটায় কবি 'চন্দ্রামণী বড়াল চৈতী' বেড়ে উঠেছেন, যে শহরজুড়ে কবিতা চাষ করেছেন- ওটা পাথরঘাটা। পাথরঘাটা নামক 'ভালোবাসা' শহরের প্রতিটা সন্ধ্যায় ভালোবাসা নিংড়ে ঝরে পড়েছে এই বইয়ের প্রতিটি কবিতায়। চৈতী- কবিতা লেখেন থেমে থাকা পথের বাঁকে অথবা ব্যস্ত টেবিলের চাপে। লিখেছেন চলতি বাসে, আওড়িয়েছেন কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে। যখন যা দেখেছেন, যা ভেবেছেন অথবা শুধুই কলম ধরা তার ক্ষুধা থেকে, নিজের অজান্তে কবিতার ক্ষুধায় মরেছেন। তাইতো কবিতা হারিয়েছেন এরচেয়েও বেশিবার, যতবার না খুঁজে পেয়েছেন নিজেকে কবিতায়। চন্দ্রা- কবি 'চন্দ্রামণী বড়াল চৈতী'র প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ। গ্রন্থের প্রতিটি কাব্যের শব্দের বুনন চমৎকার। কবি মনের স্বপ্ন এবং পাওয়া না পাওয়ার আনন্দ বেদনার অনুভূতিগুলি তার কাব্যে প্রকাশ করতে চেয়েছেন। আবার পেয়ে হারানোর যে কষ্টের অনুভূতি তা তিনি প্রকাশ করেছেন শব্দে এবং ছন্দে। যেমন গ্রীষ্মের ভর দুপুরে ঝকঝকে নীল আকাশে অগ্নিগোলক সূর্য যখন ঘন কালো মেঘের আড়ালে হারিয়ে যায় তেমনি কোনএক অনুভূতি সেটা কবি'র ব্যক্তিজীবন হতে পারে বা সমাজের সাথেও তুলনা করতে পারেন। বাকিটা পাঠকমূল্যায়নের উপর ছেড়ে দিলাম।