ভূমিকা বিংশ শতাব্দীর পদার্থবিজ্ঞানে যে সব বিজ্ঞানী পথিকৃতের ভূমিকা পালন করে বিজ্ঞানে নতুন জগৎ সৃষ্টি করেছেন তাঁদের জীবনী বাংলায় খুব বেশি লেখা হয়নি। এইসব বিজ্ঞানীরা চিরায়ত পদার্থবিজ্ঞানকে ঢেলে সাজিয়ে এক নতুন সভ্যতা ও সংস্কৃতির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। আইনস্টাইন, নীলস্ বোর, হাইসেনবার্গ, শ্রডিঞ্জার, ডিরাক, পাউলি এইসব একগুচ্ছ কালজয়ী নাম। মানুষের ধারণাজগতে যে বিশাল বিপ্লব তাঁরা সৃষ্টি করেছিলেন পরবর্তী শতাব্দীর বিজ্ঞান তার উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠবে। দৈনিক সংবাদ পত্রিকার পাতায় এই জীবনী কাহিনীগুলি বছর-তিনেক আগে যখন প্রকাশিত হয়, তখণ অনেকেই এগুলি পড়ে আনন্দ পেয়েছেন। বিজ্ঞানের মনগড়া কাল্পকাহিনীর চেয়ে এইসব সত্যিকারের কাহিনী বাংলায় আরো বেশি প্রকাশিত হওয়া উচিত বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। আমিও তাই মনে করি। জনাব ফরহাদ মাহমুদের বিপুল উৎসাহ এবং সক্রিয় সহযোগিতা না পেলে এই প্রবন্ধগুলি লেখা হতো না। বিজ্ঞানীদের ছবিগুলি সংগ্রহ করার ব্যাপারেও তাঁর ভূমিকা ছিল মুখ্য। তিন-চার বছর আগে বইটি যখন বাংলা একাডেমীতে জমা দেওয়া হয় তখন সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান ছিলেন সুব্রত বড়ুয়া, যাঁর কাছে আমি নানাভাবে ঋণী। তারপর জনাব ফরহাদ খান এবং তাঁর সুযোগ্য সহকর্মীরা বইটি মুদ্রণের ব্যাপারে সর্বতোভাবে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করেছেন। একাডেমীর মহাপরিচালক জনাব মনসুর মুসার ব্যুক্তিগত প্রচেষ্টা ছাড়া বিজ্ঞানের এই বইটি আলোর মুখ দেখত না বলেই আমার বিশ্বাস। আমি এঁদের সকলের কাছেই আন্তরিক কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের তরুণসমাজ বিজ্ঞান সম্বন্ধে উৎসাহী হবে এবং অবিষ্যতে দেশে-বিদেশে একবিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞান সৃষ্টিতে অংশ নেবে এই আশা প্রকাশ করছি।