প্রেমের যাত্রা বড় অদ্ভুতভাবেই বিচিত্র। গভীর প্রেম প্রেমিকের নিজের সত্তাকে শূন্য করে দিয়ে এগুতে থাকে প্রেমাষ্পদের দিকে। এক অনন্তের যাত্রা। ভাষা বোধবুদ্ধি ইশারা কিছুরই অস্তিত্ব থাকে না সেখানে। এই পথে মানুষের যাত্রা নানা মর্মে নানা উপলক্ষ্যে নানা পথপান্তর পাড়ি দিয়ে, এমনকি না দিয়েও অকস্মাৎ কিংবা ব্যাপক প্রস্তুতি দিয়ে শুরু হয়। সে পথে মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদের যাত্রা শুরু হয়েছে কবিতাকে আশ্রয় করে। তার কবিতাগুলি সৃষ্টিতত্ত্বের আধ্যাত্মিক মর্মোদঘাটনের একটা প্রকাশ্য প্রয়াস হিসাবেই পাঠক পাবেন, যা একইসাথে বোধ দেয় কবি নিজের সত্তার সাথে কী ঐশ্বরিক সংযোগ অন্বেষণ করেন সেটাও। পাঠক হিসাবে আপনি কবিতাগুলিতে চিত্রকল্পহীন চিহ্ন ও ভাষায় কীভাবে কবি নিজের সামগ্রিক অনুভূতিকে যুক্ত করেছেন তাও স্পর্শ করতে পারবেন, যার ফলে, তার প্রকাশের ভঙ্গি ও ভাষার ব্যবহার নিয়ে সচেতন বিবেচনা করার সময়ই পাবেন না হয়তো। ততক্ষণে কবিতাগুলি পাঠকের সাথে কথা বলার এবং পাঠকের আত্ম-প্রতিফলন এবং আত্মদর্শনকে অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা দেখাতে শুরু করবে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে কবি তার কাব্য ও নির্দ্বিধায় নিজেকে এমনভাবে প্রকাশ করেছেন যা আপনার কাছে খুব খাঁটি অনুভব হবে। আর তার অপ্রকাশ্য প্রয়াস যে আরো গভীর এবং অনন্যসাধারণ আনন্দময় এটা পাঠক অনুধাবন করতে পারবেন। সামগ্রিকভাবে, আমি এই বইমেলায় মাসুদের এই কাব্যযাত্রাটা একটা গভীর মাইলফলক হিসাবেই দেখছি। - মাসুদ জাকারিয়া
মোস্তাফিজুর রহমান। মাতা আমিনা বেগম ও পিতা মাওলানা নুরুল হুদা সাহেবের কনিষ্ঠ পুত্র। ৯০ দশকে জন্ম নেওয়া এই লেখকের প্রাথমিক পড়াশোনা শুরু হয় নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মনোহরগঞ্জ আলিম মাদ্রাসা থেকে দাখিল এবং দৌলৎগঞ্জ গাজীমুড়া কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করে একই প্রতিষ্ঠানে আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজে অনার্সে ভর্তি হন। বাস্তব জীবনে তিনি একজন সংগঠক এবং চিন্তক। নিজেকে গড়ে তুলছেন, সুফিবাদী, মুক্তমনা, প্রগতিশীল, বাঙালি মুসলিম এবং একটিভিস্ট হিসেবে।