বই মানে কতগুলো ভরাট পৃষ্ঠার সমষ্টি। কিন্তু প্রতিটা পৃষ্ঠা ভরাট হবার পেছনে থাকে অনেকগুলো ভাবনার সফল সমষ্টি। মুখের কথা দলিল না, কিন্তু পৃথিবীর ইতিহাসে বই-ই একমাত্র নির্ভরযোগ্য দলিল গিলগামেশ থেকে আজ অবধি। হয়তো এইসব দলিলগুলো পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে পাল্টেছে যুগে যুগে হুজুগে । আমি পড়তে এবং লিখতে পছন্দ করি। কিন্তু প্রেরণামূলক লেখাই আমাকে লিখতে হবে এরকম কোনো শর্ত নিজেকেও কখনো দেইনি। তারপরও আমি লিখেছি, কারণ একটা সময়ের পর দেখেছি আমার সবচেয়ে পছন্দের তরুণ প্রজন্ম আজ যন্ত্রমানব হয়ে যাচ্ছে, মাটির মানুষের দায়বদ্ধতা থাকে, সামাজিক দায়িত্ব থাকে সেটা তারা ভুলে যাচ্ছে, তাদের থেকে পৃথক ভাবনার কেউ কেউ সফলতার স্বাদ না পেয়ে হতাশায় নেশার জগতে প্রবেশ করছে, কেউ কেউ দেশ ত্যাগ করছে, কেউ-বা পৃথিবীকেই বিদায় জানাচ্ছে আমাদের সামগ্রিক সহযোগিতা না পেয়ে । আমি চেয়েছি আমার লেখনী হয়ে উঠুক কয়লার খনির মতো। যে খনিতে মাঝে মাঝে স্বর্ণ বের হয়ে আসে। আমার কয়লাগুলো থেকে কেউ অন্তত স্বর্ণ খুঁজে পাক তারই প্রচেষ্টাস্বরূপ বইটি লেখা। বইটি লিখতে কাছের মানুষের খুব উৎসাহ পেয়েছি, বিশেষ করে আমার স্ত্রী মনিরা সুলতানা সিলভী, কাছের বড়ো ভাই মহসীন চৌধুরী জন্ম ও প্রকাশক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ভাই। শেষে এসে একটি কথা। হেরে গেলেও হতাশ হবেন না, এই আশা ভেতরে জাগিয়ে রাখুন।
জন্ম ১ আগস্ট ১৯৮৭, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর । পরবর্তী সময়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ। ছাত্রাবস্থা থেকেই লেখালেখিতে ধ্যানজ্ঞান এবং পাঠে নিমগ্ন । তবে নিজেকে লেখকের পরিবর্তে একজন পাঠক হিসেবে পরিচয় দিতে বেশী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন । পেশায় তিনি অ্যাপারেল সেক্টরের সাথে জড়িত । বর্তমানে ডেকো ইশো গ্রুপে কমার্শিয়াল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন । এটি লেখকের প্রথম বই। আশা করি বইটি পরে সবার ভালো লাগবে । পাঠেই পরিচয় গাঢ় হোক