জগতের সমস্ত লজিককে ম্যাজিকভাবে ভাবিত হয়েও বস নেওয়া যায় আবার সমস্ত ম্যাজিককে লজিকভাবে ভাবিত হয়েও রস নেওয়া যায়। ম্যাজিককে সরাসরি ম্যাজিক হিসেবে তুলে না ধরে লজিকে নেবার পথ তৈরি করেন আবার লজিককে সরাসরি লজিকে না নিয়ে ম্যাজিকভাবে তুলে ধরেন। এতে আমাদের অনভ্যস্ত মস্তিষ্ক বাধা পায়, আঘাত পায় বটে তবে ধৈর্য ধরতে পেলে এই বাধাই পথ দেখিয়ে দেয় । অরবিন্দ চক্রবর্তীর কবিতার শব্দবন্ধ, বাক্যবন্ধ বা পুরো কবিতাবন্ধ নানারকম বাক্সের মতো। যেন অন্ধকার কেটে, রহস্য কেটে তক্তা বানিয়ে বাক্স তৈরি করেছেন । এই বাক্সটা ভেঙে ফেললেই আলোর দেখা পাওয়া যায়। আবার উলটোটাও হতে পারে, আলোর তক্তা দিয়ে তৈরি করা বাক্সের ভেতর থেকে অন্ধকার বেরিয়ে আসে। কবি অরবিন্দ চক্রবর্তী এমনই এক অবস্থার মুখোমুখি আমাদের দাঁড় করান তাতে প্রথমেই মনে হবে, এ অসম্ভব, এ অপ্রত্যাশিত। অরবিন্দ চক্রবর্তীর ইচ্ছার আরওতর পিনিক' পড়তে গিয়ে এসব সম্ভব, অসম্ভব, দূরসম্ভব, সম্ভবের মতো অসম্ভব, অসম্ভবের মতো সম্ভব ভাবনাগুলো খেলে গেল মনের ভেতর। তার কবিতার শকট নিয়ে শক্তি নিয়ে যেদিকে যেপথে এগুচ্ছেন তা অপ্রচলিত, এপথে হাঁটে খুব কম লোক । তার শব্দ নিয়ে অনায়াসসাধ্য খেলা বেশি চমৎকৃত করে আমাদের। যেকোনো শব্দ ব্যবহারে তার কোনো আড়ষ্ঠতা নেই, এমনকি যেকোনো জায়গাতে যেকোনো শব্দ নির্দ্বিধায় বসিয়ে দেন । নতুন শব্দও তৈরি করেন, নতুন শব্দ তৈরির সম্ভাবনা তৈরি করেন। কখনো প্রচলিত শব্দের বুকে পুঁতে দেন নতুন অর্থের বীজ। কবির এ নতুন রকমের কাব্যধারা সফল হোক। - আনিফ রুবেদ