অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার লেখার ক্ষেত্রে বর্তমান সময়কে প্রাধান্য দিয়েছেন। তাঁর সৃজনশীল ভাবনা আবর্তিত হয়েছে সমাজ ও রাষ্ট্রের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে ঘিরে। নিজে স্বপ্ন দেখেন অন্যকেও অনুপ্রাণিত করেন। তিনি মনে করেন, ইতিবাচক ভাবনার মধ্যেই নিহিত রয়েছে স্বপ্ন ও সাফল্যের মেলবন্ধন। স্বপ্ন এগিয়ে যাবে তার বাস্তব গন্তব্যে যদি মানুষ সঠিক কর্মপরিকল্পনা ও ভাবনায় অগ্রগামী হতে পারে। স্বপ্ন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভোগের বিষয়টিকে কখনই প্রাধান্য দেওয়া উচিত নয়। সব সময়ই দেশের স্বার্থকে ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়া উচিত। দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নে তার হৃদয় আবেগাপ্লুত হয় আর দেশের নেতিবাচক খবর তাকে চরমভাবে মর্মাহত করে। তিনি বিশ্বাস করেন মানুষ তার স্বপ্নের সমান ও স্বপ্নের চেয়েও বড়ো। তিনি তাঁর লেখার মাধ্যমে মানুষকে ইতিবাচকভাবে ভাবনায় অনুপ্রাণিত করেন। তিনি শিক্ষা, গবেষণা, মানুষের মানসিকতা, সমাজ, বিজ্ঞান, রাষ্ট্র, পৃথিবী, সাহিত্য প্রভৃতি বিষয়ে নতুন ধারণা ও জীবনবোধের প্রকাশ ঘটিয়েছেন তাঁর লেখায়। তিনি তাঁর প্রতিটি প্রবন্ধ লিখেছেন মানুষের ভেতরের সত্তা ও শেকড়ের মধ্যে প্রবেশ করে। দেশের পরিধি ছাড়িয়ে তাঁর ইতিবাচক ধারণা ও কর্ম বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়বে এটিই আমাদের প্রত্যাশা।