লিজি রহমান বহুমুখী প্রতিভার অধিকারিনী একজন নারী। এক সাথে অনেক কাজ সামলে আবার নিয়মিত লেখালেখিও করেন। তিনি লেখেন ভিন্ন মাত্রার বিষয়াদি নিয়ে। এবারের প্রকাশনা কৃষি নিয়ে। 'আমেরিকায় বাঙালির চাষবাস' এই শিরোনামে। বিদেশের বৈরি এবং বিশেষ আবহাওয়ায় নিজের কারিশমায় সাফল্যজনকভাবে ফলাচ্ছেন দেশ বিদেশী উদ্যানতাত্ত্বিক ফসলের জীবন্ত মিউজিয়াম । একেবারে নার্সারির চারা উত্তোলন থেকে শুরু করে ফল-ফসল তোলা খাওয়া সবই তিনি নিজস্ব স্টাইলে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। বহুমাত্রিক লেখায় সমৃদ্ধ করেছেন। বইটি। লিজি রহমান তার বাগানে অহরহ গবেষণা করে নতুন নতুন উদ্ভাবনীতে মেতে উঠেন। এতে সেদেশের আবহাওয়ায় বেশি ফলন কিভাবে পাওয়া যায় তার উপর ও গ্রহণযোগ্য প্রেসক্রিপশন তিনি সুন্দরভাবে দিয়েছেন এই বইয়ের আকর্ষণীয় দিক হলো এর সহজ সরল বর্ণনা ও যে কোন পাঠককেই আকৃষ্ট করবে। একনিমিষে পড়ে যায় তার প্রতিটি লেখা। যারা বিদেশে অবস্থান করছেন। তাদের আঙিনা সাজাতে এ বইটি দাওয়াই গাইড হিসেবে কাজে লাগবে। আর বাংলাদেশীরা জানতে পারবেন তি আবহাওয়ার বৈরি আবহাওয়ার দেশ আমেরিকায় তা সময়কালীন পরিসরে মৌসুমে কিভাবে ভিন্ন বা রকমানি ফুল ফল শাকসবজির বাগান অনায়াসে করতে পারেন। তার হাতে কলমে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন প্রাণবন্তভাবে।। লিজি রহমান যেহেতু অনেক আগে থেকেই লিখেন এজন্য তার লেখায় পরিপক্কতা তো আছেই, আছে মুন্সিয়ানা, যাতে পাঠক ধরে রাখার একটা সফল কৌশল প্রচেষ্টা সন্নিবেশিত হয়েছে। কৃষিবিদ ডক্টর মো. জাহাঙ্গীর আলম
লিজি রহমানের নেশা লেখালেখি করা। কৈশাের থেকেই তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকার শিশু-কিশােরদের পাতায় নিয়মিত লিখেছেন। দীর্ঘ তিরিশ বছরেরও বেশি সময় আমেরিকা আছেন। সেখানে যাবার পরও তার লেখালেখিতে ছেদ পড়েনি। ঢাকা এবং নিউইয়র্কের বিভিন্ন বাংলা এবং ইংরেজি দৈনিক এবং সাপ্তাহিক পত্রিকায় বিভিন্ন ধরণের লেখা লিখছেন। এছাড়াও, লিজি রহমান নিউইয়র্কের সড়ক নিরাপত্তা এবং পথচারীদের জীবন রক্ষার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নিউইয়র্কের ‘বুলেভার্ড অব ডেথ' নামে খ্যাত ব্যস্ততম এবং বিপজ্জনক সড়ক কুইন্স বুলেভার্ডে দীর্ঘ প্রতিক্ষিত বাইক লেন স্থাপন করে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। রেখেছেন। এছাড়াও, নিউইয়র্ক শহরে গাড়ির গতি সীমা কমানাে, স্পীড ক্যামেরা স্থাপনসহ অন্যান্য আরাে অনেক জনকল্যাণকর কাজ করেছেন। লিজি রহমানের পেশা শিক্ষকতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে। মাস্টার্স এবং নিউইয়র্কের কুইন্স কলেজ থেকে এডুকেশনে মাস্টার্স করেছেন। দীর্ঘদিন যাবত নিউইয়র্কের পাবলিক স্কুলে শিক্ষকতা করছেন তিনি। ঢাকার শান্তিনগরে এক মুক্তমনা এবং সংস্কৃতিবান পরিবারে লিজি রহমানের জন্ম। তিনি বিশিষ্ট মানবতাবাদী আবদুল মালেক এবং রিজিয়া। বেগমের জ্যেষ্ঠ সন্তান। স্বামী শরিফুর রহমান বাচ্চু ২০১৮ সালে অসুস্থ্যতা জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে বড় ছেলে আসিফ এক সড়ক দুর্ঘটনায় ২০০৮ সালে মৃত্যুবরণ করেছে। বড় মেয়ে। মৌমিতা রহমান একজন এটর্নী এবং ছােট ছেলে নাফিস কলেজে পড়াশােনা করছে। লিজি রহমানের প্রকাশিত বই: ওহ! আমেরিকা, কিশােরীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ, রংধনুর দেশ, আমেরিকার যতাে কথা। তাঁর সম্পাদিত বই: Through the Rhymes রচনা আসিফ রহমান। ড. পূরবী বসু সম্পাদিত ছােটগল্প সংকলন The Golden Leaves বইতে লিজি রহমানের একটি ইংরেজি গল্প অন্তর্ভুক্ত আছে।