রাসুল (সা:) এর যুগ থেকে শুরু করে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন ও আইম্মায়ে মুজতাহিদিনের যুগে মুসলিম সমাজের আর্থিক ক্রিয়াকলাপে ইসলামের নির্দেশনা অনুসরণ করা হত। আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ইসলাম-ভিন্ন অন্য কোন উৎস হতে সমাধান গ্রহণের বিষয়টি ছিল মুসলিমদের কল্পনারও বাইরে। ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, আমদানী-রপ্তানির রীতিনীতিসহ সকল আর্থিক কর্মকাণ্ডে আলিম সমাজের পরামর্শ গ্রহণ করা হত। গত শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে মুসলিম দেশগুলো ঔপনিবেশিক শক্তির কবল হতে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা অর্জন করতে শুরু করে। মুসলিমদের মাঝে তাদের ঐতিহ্যের চেতনা ফিরে আসে। ইসলামি অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার একটি আন্দোলন শুরু হয় নানা মুসলিম দেশে। এর ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন দেশে ইসলামি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম ইসলামি ব্যাংক ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। বর্তমানে বাংলাদেশে ১০টি পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ব্যাংক আছে। আরো ২৫টি ব্যাংকে রয়েছে ইসলামি ব্যাংকিং উইন্ডো এবং ইসলামী ব্যাংকিং শাখা। বর্তমান পরিস্থিতি ইঙ্গিত করছে যে, বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিং-এর ভবিষ্যত অত্যন্ত উজ্জ্বল। আধুনিক অর্থনীতি অত্যন্ত জটিল ও বহুমাত্রিক। তাই অর্থব্যবস্থা সংক্রান্ত ঐতিহ্যবাহী ফিকহি অধ্যায়গুলোকে আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সাথে খাপ খাওয়ানো প্রয়োজন। কিন্তু বাংলা ভাষায় এ বিষয়ে পর্যাপ্ত গ্রন্থ রচিত হয়নি। ফলে ইসলামি ব্যাকিং-এর সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিবর্গ প্রধানত কিছু বিদেশি বই ও তাদের প্রাতিষ্ঠানিক অভিজ্ঞতার আলোকে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। বাংলা ভাষায় ইসলামি ব্যাংকিং সম্পর্কিত মানসনম্পন্ন বইয়ের ঘাটতি পূরণে ড. জাহিদুজ্জামান-এর অনূদিত মারিফা একাডেমির Marifa’s Islamic Banking