অটোগ্রাফ আয়েশা এবং তার হাসব্যান্ড আসলো অনেকটা দেরি করে। আমি লেখক আব্দুল্লাহ আল ইমরান ভাইয়ার বই কিনে শিখার আশেপাশেই রয়েছি। নয়টা বেজে গেছে, তখন আসলো আয়েশা সাথে দুলাভাই। আমি ইমরান ভাইয়াকে একটা কল করলাম। বললাম, সেই উত্তরা থেকে আমার বেস্টি আসছে আপনার সাথে দেখা করবে বলে। ভাইয়া বললেন- তোমরা শিখার সামনেই থাকো। আমি আসতেছি। আমরা প্রায় জনশূন্য মেলা প্রাঙ্গণে অপেক্ষা করছি। স্টলগুলো সব বন্ধ হতে চলেছে। ল্যাম্পপোস্ট ইতোমধ্যে একটা একটা করে নিভে যাচ্ছে। এরই মধ্যে এক ভদ্রলোক এসে শিখার সামনে বড়ো গলা করে হাঁকডাক। ইমরান কই? আছে নাকি। শিখা থেকে আওয়াজ হলো। ভাই একটু ওই দিকটায় গেছে। আমি ভদ্রলোকের সামনে গেলাম। সালাম দিলাম এবং বললাম, ইমরান ভাইয়া শিখার সামনে আসতেছে, আপনি বরং একটু কষ্ট করে আমার সেলফিতে আসেন প্লিজ। বলতে বলতে ছবি তোলা হলো- ভদ্রলোক কিছুটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, আপনার নাম কি? আমি বললাম- আমার নাম অর্পা। আমি আপনাকে টিভির পর্দায় দেখেছি। আপনি “আরও গভীরে” লিখেছেন এইবার স্বস্তি ফেললেন। ইনি চলে গেলেন ‘লেখক বলছি’ মঞ্চের ওই দিকটায়। আমিসহ আমরা ফের অপেক্ষা করছি “চন্দনগন্ধের বন” এর অটোগ্রাফের জন্য।