ছড়াগ্রন্থ ‘গন্ধরাজের ডানা’ (২০০৫) দিয়ে শুরু কবি জিয়া হকের কাব্যরচনা। তারপর ২০১৩ তে বের হয় কিশোরকাব্য ‘বন নাচে মন নাচে’ এবং অনুকাব্য ‘মিস তোকে মিস করি’। প্রথম সারির সব দৈনিক-ই তার লেখা ছেপেছে। অনলাইনে আরও বেশি। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সাময়িকীতে মুদ্রিত তার ছড়া-কবিতার সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। কয়েকটি ফিচার লিখলেও এখন পর্যন্ত কবির লেখার প্রধান শাখা ছড়া এবং প্রধান উপজীব্য ‘প্রকৃতি’। এর সাথে আছে দেশপ্রেম ও সমাজচেতনা। আপাতত সময়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া কবির ভেতরে বেশি দেখা যাচ্ছে। এ পর্যায়ে প্রকাশের পথে তার সর্বশেষ কাব্য ‘ঢেউ দোলানো নদীর মায়া’। এখানেও সময়ের প্রতিক্রিয়া লক্ষণীয়; তবে কবি বিভিন্ন অনুষঙ্গ দিয়ে তার গ্রন্থকে সমৃদ্ধ করতে চেয়েছেন বলে মনে হয়। বিবেকের বাতি জ্বালিয়েই পাণ্ডুলিপিটি পড়ার চেষ্টা করেছি, সচেতনভাবে। তাতে প্রতীয়মান হয়েছে-- দেশ, বিশ্ব, আগ্রাসন, মুক্তিযুদ্ধ, শিশু, ভিনদেশী কালচার, আড়িয়ালখাঁ-পালং-মধুমতি প্রভৃতি নদী, বিল, ঝিল, বাগান, প্রকৃতি, স্কুল, মাঠ, ক্ষেত, ফল, ফুল, পাখি, খেলা, বিকেল, সকাল, গ্রাম, মাছ, জেলে, চাষী, আবেগ, আশাবাদ, স্মৃতি, বিপর্যয়, মহামারী, ঘুষ, দুর্নীতি, খুন, ব্যবসা, মুদ্রাস্ফীতি, মূল্যবোধের অবক্ষয়, বেকারত্ব, বিবিধ সামাজিক সমস্যা, কৈশোর, বাৎসল্য প্রভৃতিকে অল্প-বিস্তর ছুঁয়েছে তার কবিতা। কোনো কোনো কবিতা আবেগ ও উপলব্ধির স্পর্শে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। বোধ ও নান্দনিকতার যথেষ্ট সমন্বয় হওয়ায় ওইসব কবিতা রসপিপাসু পাঠককে না নাড়িয়ে ছাড়বে না। জীবন্ত চিত্রকল্প আছে একাধিক কবিতায়। ৩০টি কবিতার ভেতরে খুঁজলে এমন কয়েক ডজন পঙ্ক্তি পাওয়া যাবে, যা কবির অনাগত সম্ভানার দিকেই ইঙ্গিত করে চলেছে। আমাদের পছন্দের সেসব পঙ্ক্তি আমরা কবিকে দিয়েছি, বইয়ের ফ্ল্যাপে তার ১০/২০টি তুলে দিতে (পরামর্শ মাত্র)। পাণ্ডুলিপি আকারে থাকতেই অনেক কবি গ্রন্থটি সম্পর্কে মৌখিকভাবে বড় মন্তব্য করেছেন বলে জানতে পেরেছি। সেই জানাকে পাশে রেখে আমরা আমাদের মতো করে বলার চেষ্টা করেছি। বাকিটা প্রকাশের পরে পাঠক ও সমালোচকরা বলবেন। চূড়ান্তভাবে সময় এসে তার দায়িত্ব পালন করবে ইনশাআল্লাহ। এবার তবে কবির হাসি-কান্না দিয়ে শেষ করা যাক-- মুখের ভাষা যায় না বোঝা চোখের ভাষা খাঁ খাঁ এ যেন সেই ওড়ার আগেই ভাঙলো পাখির পাখা! ... দেড়-দুই দিন বাড়ি থাকি, সবাই তখন পর একটা মিনিট একলা হলেই মাথায় তোলে ঘর ঢাকা যাবো, বললে কাঁদে, পালিয়ে ঢাকায় আসি চোখের পাতায় বৃষ্টি ঝরায় জাররাহ বাবুর হাসি!
ছড়াগ্রন্থ ‘গন্ধরাজের ডানা’ (২০০৫) দিয়ে শুরু কবি জিয়া হকের কাব্যরচনা। তারপর ২০১৩ তে বের হয় কিশোরকাব্য ‘বন নাচে মন নাচে’, অনুকাব্য ‘মিস তোকে মিস করি’ এবং ২০২৩ সালে কিশোর কবিতার বই 'ঢেউ দোলানো নদীর মায়া'। প্রথম সারির সব দৈনিক ও অনলাইনে তার লেখা ছাপা হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সাময়িকীতে মুদ্রিত ছড়া-কবিতার সংখ্যা সহস্রাধিক। জিয়া হক লেখাপড়া করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। দীর্ঘদিন ছিলেন সাংবাদিকতায়। বর্তমানে মানুষ গড়ার কারিগর। সদালাপি, মিষ্টভাষী, স্বাপ্নিক ও রোমান্টিক। মাদারীপুরের শিবচরে জন্ম জিয়া হকের। লেখালেখিতেই জগতের সমস্ত স্বস্তি দেখতে পান