মদন গল্পের প্রধান চরিত্র। হ্যাংলা, রোগা-পাতলা শ্যামলা গড়নের ছেলে। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। হ্যাংলা, রোগা-পাতলা বলে সহপাঠীরা কেউ মদনের সাথে মিশতে চায় না, এমনকি খেলাধুলায় নিতে চায় না। তাই মদন সারাক্ষণ মন খারাপ করে একা বসে থাকে। আজ শুক্রবার স্কুল বন্ধ। তাই আজ পাড়ার ছেলেরা কাবাডি কম্পিটিশন খেলবে। যে দল জিতবে সে দল মেডেল পাবে। এ খবর শুনে মদন আনন্দ ধরে রাখতে পারল না। তাই সহপাঠীদের বলল, জয়-বিজয়, আজ তো কাবাডি প্রতিযোগিতা; আমাকে তোরা খেলায় নিবি? আমি খেলব। জয়-বিজয় হো হো করে হেসে বলল, তুই খেলবি কাবাডি! তবেই হয়েছে; তোর যা শরীর, তোকে তো একটা দুই বছরের বাচ্চাও ধাক্কা দিলে চিতপটাং হয়ে পড়ে যাবি! তুই কি জানিস কাবাডি খেলতে সুঠাম দেহের অধিকারী হতে হয়, শরীরে প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হয়? যা বাড়ি যা, তোর কাবাডি খেলার কাজ নেই। তুই বরং একটা পাটি, কাঁথা, বালিশ নিয়ে মাঠের পাশে শুয়ে শুয়ে খেলা দেখিস। এই বলে জয়-বিজয়রা হাসতে হাসতে খেলতে চলে গেল। মদন মন খারাপ করে বটগাছের নিচে বসল। বটগাছের পাশেই পুকুর, তাই পুকুরে ছোট ছোট ঢিল ছুড়তে লাগল। হঠাৎ আকাশ থেকে মানবরূপী একজনকে পুকুরের মধ্যে পড়ে হাবুডুবু খেতে দেখল। মদন মনে মনে ভাবল, কে রে এই ব্যক্তি?