মফসসলের অতি সাধারণ ছেলেমেয়েদের বাল্যকাল এই বইয়ের পাতায় উঠে এসেছে। এ প্রজন্মের মানুষ সেগুলো জানতে পারবে। আর তাদের মা-বাবারা সেসব চমৎকার দিনের স্মৃতি রোমন্থন করতে পারবেন। স্কুলের প্রথম দিকের স্মৃতি, মন কেমন-করা দুপুর, আর অনেক প্রিয়সব দেশি খাবার মনকে সুদূরে নিয়ে যাবে। আবার বড়দের সঙ্গে পিকনিক করতে গিয়ে নতুন জায়গা দেখে উৎফুল্ল হওয়ার আনন্দ যেমন মন ছুঁয়ে যাবে, তেমনি অপ্রকাশিত কারণে কিশোরীর আত্মহত্যা করার মতো হৃদয়বিদারক ঘটনায় মন ভারাক্রান্ত হয়ে যাবে। দেশের পাশাপাশি অন্যান্য কয়েকটি দেশের নানা ঘটনা এবং জায়গা লেখায় উঠে এসেছে। হায়দরাবাদের সালারজং মিউজিয়ামে ঘড়ির ভেতর থেকে ছোট্ট একটা মানুষের মূর্তি বেরিয়ে এসে প্রতি ষাট মিনিট পরপর ঢং ঢং করে ঘণ্টা বাজায়। এই দৃশ্য আরেকবার দেখার জন্য লাও পিডি আর নামক দেশের মেয়ে মিং আরও এক ঘণ্টা সেখানে বসে থাকতে চায়। আবার কাছেই হুসেন সাগর লেকের মায়াবী পানিতে আত্মহত্যা করতে আসে বহু মানুষ। মালয়েশিয়ান তুলিস চারমিনার সংলগ্ন মক্কা মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়ার ইচ্ছে ব্যক্ত করে। রামোজি ফিল্ম সিটিতে মুম্বাইয়ের বস্তি, দিল্লির বাজার, কলকাতার গলি দেখে চেনা চেনা লাগে। অনেক সিনেমায় দেখা-হয়েছে যে! এথেন্সের অলিম্পিক স্টেডিয়াম আর এরিস্টটল, প্লেটো, আলেকজান্ডারের দেশ গ্রিসের আনাচে-কানাচে ইতিহাসের ছোঁয়ায় নানা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট দেখে মনের আঁশ মেটে না। একটু পরেই মন বিষণ্ন হয়ে যায় নিঃসঙ্গ রহমান সাহেবের বেদনাময় মৃত্যুর কথা জেনে। দুর্ভাগা মানুষটি শেষ মুহূর্তে কাউকে পাশে পায়নি। কখন তার প্রাণপাখি উড়ে গেছে কেউ জানে না। সাগরকন্যা কুয়াকাটা দেখার কথা উঠে এসেছে। কী মায়ার বাঁধন চারপাশে। এই তো জীবন!