যুদ্ধবাজ কলের পুতুল ফ্ল্যাপ-১ যুদ্ধবাজ কলের গল্প ফ্ল্যাপ-১ জন্ম, মৃত্যু, জীবন কিংবা শরীর কেবলই একটা ধারণা মাত্র। যে যেমন ধারণা করবে তাঁর সময়ের হিসেবটা সেভাবেই মিলবে। প্রত্যেকটা ধারণার হিসেবেই একটা শংঙ্কা এবং সেটা নিয়তির কঙ্কাল। জন্ম, বেঁচে থাকা কিংবা মৃত্যু কেবল এবং কেবলমাত্র আমার। সবটা জুড়ে আমি কিন্তু ধারণা সবার, হতেই পারে না। কে পাগল, ডাক্তারের সাপেক্ষে রোগী নাকি রোগীর সাপেক্ষে ডাক্তার? পাগল হতে পারাটা সাধনার ব্যাপার আর পাগলামী একটা বিশেষ শিল্প। তাই আমি কারও ধারণায় বাঁচি না, মরি না, কারও ধারণা পাল্টাতেও যাই না। বিষয়টা এমন যে ‘বদলাতে এসো না বরং বদলে যাবার ভয় রাখো’! জন্মেছি বলেই অনেক সুখ, বহু দুঃখ নিয়ে শরীরটাকে মৃত্যুর ধ্যান শেখাচ্ছি। খুব করে বোঝাচ্ছিÑ আমাদের জন্ম কেবলই বাবা মায়ের কামনা চুক্তির একটা হিংস্র ধারা মাত্র যেখানে কাম দাস দাসিরা জনম জনম দাসত্ব করে যায়। ‘মায়া’ একটা ধ্রুবক, ‘প্রেম’ শরীর ধারণার অংশ বিশেষ, কায়া বদলালে মায়া বদলে যায়। কিংবা প্রাণ আছেতো কামনা আছে, কামনাই স্রষ্টা আর সৃষ্টির একমাত্র পার্থক্য। অথবা মোহাম্মদ ডেভিড কৃষ্ণ বড়ুয়া’র এক অদ্বিতীয় এবং অতৃতীয়া ‘মানুষ’ হতে না পারাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মূর্খতা। নিঃসঙ্গরা কখনোই একা থাকতে পারে না কিংবা প্রাণ পাওয়া ভ্রুণেরা কখনোই জারজ হয় না। রুহের শহরে নারী পুরুষ কিংবা ক্লীব বলে কিচ্ছু নেই। ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়গুলো চিৎকার দিয়েও বলতে চেয়েও পারিনি সমাজ চক্ষু, দেশ কিংবা হালের অর্ধনগ্ন গণতান্ত্রিক তন্ত্র মন্ত্রের কারণে। বলতে চেয়েও বলতে না পারা কথাগুলোই আমার আমিত্বের সাথে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা খেলে প্রতিনিয়ত। আর আমি কলের পুতুল হয়ে লিখে যাই কলের গান। লিখে যাই ভীষণ নীরবতায়, আমার কবিতায়। লিখে যাই ‘যুদ্ধবাজ কলের পুতুল’। রফিকুল ইসলাম দুঃখু